রমজানের পূর্বেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন: প্রিন্সিপাল মাদানী

প্রকাশিত: ৬:৩৭ অপরাহ্ণ, মে ৩, ২০১৯

একুশ প্রতিবেদক: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখার আহ্বান জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, প্রতি বছরই রমজান মাসে চাহিদা বেশি থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যায়।

বাজারে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে ভোক্তা আইন অনুযায়ী মূল্যতালিকা থাকে না। ব্যবসায়ীরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন এর বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘন করে। আইন-শৃংখলা রাক্ষাকারী বাহিনী তা দেখে না। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। রমজানে ভোগান্তি এড়াতে রমজানের পূর্বেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর নির্দেশনা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনে জেল-জরিমানাসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে। রাজধানীসহ সারা দেশের পাইকারি, খুচরা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় মনিটরিং ব্যবস্থা থাকতে হবে।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর ভাটারাস্থ আস সাঈদ মিলনায়তনে ঢাকা সিটি উত্তরের সূধীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক হাজী আবু সাঈদ, আলহাজ আনোয়ার হোসেন ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, নুরুল ইসলাম নাঈম, মুফতী মাছউদুর রহমান, শেখ মুহা. সাঈফুল ইসলাম, ডাঃ মজিবুর রহমান, এ্যাডঃ শুওকত আলী হাওলাদার, হাজী আলাউদ্দিন, খলিলুর রহমান, মাওলানা জাকারিয়া প্রমুখ।

তিনি আরো বলেন, রমজান মাস আসতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাজার ও আড়ত থেকে পণ্য নিয়ে কারসাজি শুরু করে দিয়েছে।

পাইকারি বাজারে দাম বাড়ানোর এই কারসাজি যদি বন্ধ করা না যায় তাহলে রোজাদার মানুষের দুর্ভোগের শেষ হবে না। পাইকারী বাজারে দাম না বাড়লে রমজান মাসে পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায় রাখা সম্ভব হবে। এখনই এ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি রোজাদারদের সেবায় ব্যবসায়ীদেরকে এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহবান জানান। সভাপতির বক্তব্য প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, মাহে রমাযান ধনী-গরীব, মালিক-শ্রমিক, উঁঁচু-নিচু এর মধ্যকার দুরত্ব কমানোর শিক্ষা দেয়।

ধনাঢ্যদের উচিত হবে অন্তত এ মাসে দরিদ্রের মুখে একটু হাসি ফোটাতে কিছুটা হলেও পদক্ষেপ গ্রহণ করা। নিজেদের আনন্দে তাদেরকেও শরীক করে নেয়া। মাহে রমযানের শিক্ষাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে যেতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।

/আরএ

Comments