ওবায়দুল কদেরকে বিএনপিতে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ রিজভীর নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ১:৪০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৯ ডেস্ক: বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ওবায়দুল কাদের এখন স্বেচ্ছায় বিএনপির উপদেষ্টা হতে চলেছেন। খামাখা আওয়ামী লীগে থেকে তাঁর লাভ কী? বরং ওবায়দুল কাদেরকে বিএনপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, বিএনপির দরজা খোলা আছে।’ আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রতিনিয়ত বিএনপিকে উপদেশ দিচ্ছেন। সভা-সমিতি, মঞ্চ, গণমাধ্যম ও ব্রিফিংয়ে বিএনপির কী করা উচিত, বিএনপির পরিণতি কী হবে, বিএনপি নির্বাচনভীতিতে ভুগছে, বিএনপি সংসদে যোগ দেবে ইত্যাদি নানা কথার ‘খই ফুটাচ্ছেন’ প্রতিদিন। তিনি বলেন, সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী হিসেবে ওবায়দুল কাদের ‘শালীনতা’, ‘ভব্যতার গুণমান’ বিবেচনা না করে বিএনপির বিরুদ্ধে ক্রমাগত উপদেশের ভাঙা টেপ রেকর্ড বাজিয়েই চলেছেন। রিজভী অভিযোগ করেন, ‘অনাচারের’ পাহাড়সমান স্তূপে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভীতসন্ত্রস্ত, কখন কী হয় আতঙ্কে তাঁদের সারা দিন কাটে। বিভিন্ন এলাকায় তাঁরা তলেতলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা শুরু করেছেন। নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আওয়ামী নেতা-কর্মীরা আসলেই উদ্বিগ্ন। ক্ষমতার বৃক্ষ ‘উপড়ে’ যাওয়ার পর অনাগত ভবিষ্যৎ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা গভীর দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সে জন্য স্বেচ্ছায় বিএনপির উপদেষ্টার আসনে বসতে চাইছেন ওবায়দুল কাদেরসহ অন্য নেতারা। এ সময় রিজভী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, বিএনপি সংসদে না গেলেও প্রতিনিয়ত বিএনপি ও জিয়া পরিবারকে নিয়ে সংসদে বিষোদ্গার করছেন প্রধানমন্ত্রী। সবার বাক্স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে একাই লাগামহীন কথাবার্তা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধী দলকে কারাগারে ঢুকিয়ে নির্বাচনী ময়দান শূন্য করার পর বিজয় তো প্রত্যাশিত হবেই। খবর প্রথম আলো। খালেদা জিয়ার বিষয়ে রিজভী বলেন, পথের কাঁটা সরানোর জন্য খালেদা জিয়ার মতো বিপুল জনপ্রিয় একজন জাতীয় নেত্রীকে এক বছর ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। দাগি খুনিদের মুক্তি দিয়ে নির্দোষ ব্যক্তি জাহালমকে তারা জেল খাটায়। বাহুবলে বিরোধী শক্তিকে তারা নির্মূল করার চেষ্টায় লিপ্ত। জাতীয় থেকে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত দুর্নীতির বিস্তার, নারী-শিশু নির্যাতনের ভয়ংকর প্রকোপ, সড়কে মৃত্যুর মিছিল, গুম ও খুনের ভয়াবহ আধিপত্য, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণসহ দেশব্যাপী গণতন্ত্র এখন হাহাকার করছে। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার নীতির প্রতি যারা অবাধ্য, তাদের ঠিকানা হচ্ছে কারাগার। বিএনপি নেতা রিজভী আরো বলেন, আজ বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণমানুষের নেত্রী, গণতন্ত্রের প্রতীক ও গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়াকে প্রতিহিংসা পূরণের সাজা দেওয়ার এক বছর পূর্ণ হলো। চরম অবিচার আর অন্যায়ের আঘাতে খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করা হয়েছে। এটি ছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার সাজা।’ তিনি খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চান। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সারা দেশে বিএনপির বন্দী নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে আগামীকাল শুক্রবার বেলা আড়াইটায় ঢাকার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হবে। ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর বাদে দেশব্যাপী একই দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হবে বলেও জানান রিজভী। /আরএ Comments SHARES রাজনীতি বিষয়: