নির্বাচন হওয়ার আগেই হেরে যায় বিএনপি: কাদের

প্রকাশিত: ৭:৩৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯

একুশ নিউজ: বিএনপির অভিযোগ এখন জনগণের কাছে হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে কাদের এই মন্তব্য করেন।

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেওয়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা নির্বাচন হওয়ার আগেই হেরে যায়। নির্বাচন হওয়ার আগেই তারা নির্বাচন সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে। বিরূপ মন্তব্য করা, নালিশ করা তাদের পুরোনো অভ্যাস। যেসব নির্বাচনে তারা নির্বাচিত হয়েছে, সেসব নির্বাচনেও দেখা গেছে গণনার সময়ে তারা জালিয়াতির কথা বলে। এটা বিএনপির পুরোনো অভ্যাস। এটা নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। এটা হাস্যকর হয়ে গেছে। তাদের নালিশের কোনো বাস্তবতা, সত্যতা নেই।

একতরফা নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ জিতে যাচ্ছে, বিএনপির নেতা নজরুল ইসলাম খানের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, উনি কি নির্বাচনের নিয়মকানুন, আইন, আচরণবিধি, সংবিধান—এসব মানতে চান না? জাতীয় নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন তো পাঁচ বছর পরেই হচ্ছে। গতবারের উপজেলা নির্বাচনেও প্রথম ধাপে বিএনপি মেজরিটি পার্সেন্ট এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয় ধাপেও তারা ব্যালেন্স ছিল।

তারা এখন নির্বাচনে অংশ নেবে না, কারণ তারা জানে জাতীয় নির্বাচনে যে ভরাডুবি হয়েছে, তাতে উপজেলা নির্বাচনে আরও শোচনীয় অবস্থা হবে। এই ভয়ে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। বিএনপি যখন মনে করে নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা নেই, তখন তারা এই ধরনের অভিযোগ করে। রোজ কিয়ামত পর্যন্ত তারা অভিযোগ করবে।

নারী আসনের মনোনয়নের ক্ষেত্রে ত্যাগী ও তৃণমূলকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, উল্লেখ করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক সময় নিয়েছি। আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনা সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছেন।

এমনকি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় কয়েকজনের নাম তিনি আমায় লিখে রাখতে বলেছিলেন। অনেক যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। দে আর অল ব্রিলিয়ান্ট, পোলাইট, কমিটেড অ্যান্ড ডেডিকেটেড। আমাদের দলের প্রতি কমিটেড, দেশ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতিও তারা কমিটেড। আন্দোলন-সংগ্রামে তাদের যে ত্যাগী ভূমিকা, সেটাকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি, অগ্রাধিকার দিয়েছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, ভবিষ্যতে নারী আসন বাড়ানো নয়, কমানোর চিন্তা করছি। এমনিতেই ২৫ বছরের জন্য অন্তর্ভুক্ত আছে। নারীর ক্ষমতায়ন অনেক দূর এগিয়ে যাবে। অনেক আপগ্রেডেট হবে।

/সিএইচ

Comments