মুসলিম বা সাম্প্রদায়িক নয়; ইসলাম মানুষের ধর্ম (ভিডিও): অধ্যাপক আকন

প্রকাশিত: ৪:২৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮

একুশ নিউজ: গত ২১ ডিসেম্বর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন দলেরর ইশতেহার ঘোষণা করেন।

ইশতেহারে সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারী অধিকার, দূর্নীতি নির্মূল, ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ ১৬টি অগ্রাধিকার ভিত্তিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

১৫ বছরে দেশি-বিদেশি ঋণ শূন্যের কোটায় আনা, ২০ পার্সেন্ট প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্য কমানো, আয়কর ও আমদানি-রফতানি শুল্ক কমানোসহ ইশতেহারের ৩য় দফায় ২১টি নাগরিক সুবিধার কথা বলা হয়েছে।

এসব বিষয়ে একুশ নিউজের পক্ষ থেকে কথা বলা হয় ইসলামী আন্দোলনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকনের সাথে। তিনি কথা বলেন নির্বাচন পদ্ধতি, অর্থনৈতিক ভিষণ, সংখ্যালঘু অধিকার সহ নানান বিষয়ে। কথা বলেন একুশ নিউজের নির্বাহী সম্পাদক শাহনূর শাহীন এবং সঙ্গে ছিলেন, একুশ নিউজের ডেস্ক ইডিটর নাফিজ আলম চয়ন

আমরা প্রথমেই জানতে চাই ধর্মভিত্তিক দলগুলো নিয়ে সংখ্যালঘুদের মাঝে ভিতিকর ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ক্ষমতায় গেলে সংখ্যালঘুদের জন কী করবে?

অধ্যাপক আকন বলেন, ইসলাম কেবল মাত্র মুসলিমদের ধর্ম নয়। ইসলাম সাম্প্রদায়িক ধর্মও নয়। ইসলাম মানুষের ধর্ম। ইসলাম মানবতার ধর্ম। ইসলামী রাষ্ট্রে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পূর্ণ অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষিত।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ইশতেহারে সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভাবনা জানতে চাইলে এসব কথা বলেন দলটির রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যপক আশরাফ আলী আকন।

ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় গেলে সংখ্যালঘুদের অধিকার ক্ষুণ্ন হবে কিনা কিংবা ইসলামী আন্দোলনের ইশতেহার এ বিষয়ে কী বলা হয়েছে তা জানতে চাইলে অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন আরো বলেন, ইসলামী আন্দোলনের ইশতেহারের ২৮তম দফায় ৬টি উপধারায় অমুসলিম নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের ইশতেহারে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সহ সকল অমুসলিম সম্প্রদায়ের নাগরিক অধিকার, মর্যাদা, ও নিরাপত্তা সুনিশ্চত করাসহ সংখ্যালঘুদের জান-মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তা বিধানে কোনোরকম বৈষম্য ও শৈথিল্য করা হবে না। বরং তাদের ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবিক অধিকার পুরোপুরি সুরক্ষা করা হবে।

ইসলামী আন্দোলনের ইশতেহারে সংসদীয় নির্বাচনী পদ্ধতির পরিবর্তনের অঙ্গীর করা হয়েছে। ইশহারে বলা হয়েছে বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতিতে পরিবর্তন করে পিআর পদ্ধতির প্রবর্তন করা হবে।

এ পদ্ধতিতে ভোটের আনুপাতিক হারে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবে। প্রত্যেক দল নির্বাচনে আগে আসন ভিত্তিক তাদের প্রার্থী মনোনয়র দিবে। ভোটররা সরাসরি প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে দলকে ভোট দিবে।

দলগুলো নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে সংসদ সদস্য পদে নিজেদের প্রার্থী মনোনীত করবে।

এ ব্যাপারে অধাপক আকন বলেন, বর্তমান পদ্ধতিতে জনমতের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনা। ৫১ পার্সেন্ট মানুষের রায়ে এক পক্ষ সরকার গঠন করে বা ক্ষমতায় যায়। আসন ভিত্তিকও মাত্র একভাগ বেশি মানুষের সমর্থন নিয়েও যে কেউ সাংসদ নির্বাচিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাকী ৪৯ ভাগ মানুষের মতামতের কোনো গুরুত্বই থাকে না।

এই পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটিয়ে আমরা পিআর পদ্ধতি প্রবর্তন করবো। তাতে শতভাগ জনমতের প্রতিফলন ঘটবে।

ইশতেহারে সরকারের বিভিন্ন আয়ের খাতে বিশেষ করে আয়কর ও আমদানি রফতানি শুল্ক কমানোর কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যায়ের খাত বৃদ্ধি লক্ষনীয়। প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিসহ ১৫ বছরের মধ্যে দেশি-বিদেশি ঋণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে।

সরকারি আয় কমিয়ে ব্যায় বাড়ানো আবার দেশকে ঋণমুক্ত করার ক্ষেত্রে দেশ চালাতে প্রয়োজনী অর্থ কোথায় পাবেন জানতে চাইলে অধ্যাপক আকন বলেন, বাংলাদেশে যেই পরিমান দূর্নীতি হয় তা দিয়ে এসব প্রয়োজন মেটানো সম্ভব।

তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি যে ঋণ সরকার নেয় তার সিংহভাগই নেতাদের পকেটে যায়। দূর্নীতির কারণেই এত টাকা অপচয় হয়। তারা বলেন, ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় গেলে দূর্নীতি নির্মূল করা হবে।

অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন রাষ্ট্রপতি এডভোটেক আব্দুল হামিদের সাথে কথোপকথোনের কথা উল্লেখ্য করে বলেন, আমি বলেছিলাম মাননীয় রাষ্ট্রপতি আপনার একটি কথা আমি প্রায়ই বলি, সেটা হলো আপনি বলেছেন, দেশে যে পরিমাণ দূর্নীতি হয় তা দিয়ে প্রতিবছর ১টি করে পদ্মা সেতু করা সম্ভব।

অধ্যাপক আকন বলেন, তখন রাষ্ট্রপতি বলেছেন; আপনি ভূল বলেছেন। আমি ১টি পদ্মা সেতুর কথা বলিনি। আমি ২টি পদ্মা সেতুর করার যাবে বলেছি।

এবার আপনিই বলুন, মাননীয় রাষ্ট্রপতিই কথা থেকেই কি এটা আন্দাজ করা যায়না আমরা এত টাকা কোথায় পাবো?

সম্পূর্ণ ভিডিও দেখতে লিংকে ক্লিক করুন……

https://www.youtube.com/watch?v=Lvd4dkU3wM4

/এসএস

Comments