সুবর্ণচরের সেই গৃহবধুর পাশে ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ

প্রকাশিত: ৮:০৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোটের দিন রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধর্ষণের শিকার নারীর ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরোচিত লোমহর্ষক ঘটনায়, পারুল বেগমের বর্তমান অবস্থার খোঁজ নিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর রাজনৈতিক উপদেষ্টা আশরাফ আলী আকনের নেতৃত্বে আজ বুধবার এক প্রতিনিধি দল নোয়াখালী সদর হাসপাতালে আসেন।

অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন পারুল বেগমের বিষয় জেনে বলেন, অতীতে কোনো জালেম টিকেনি নব্য জালেমরা ও টিকবে না।

দুর্নীতি দুঃশাসন ও মাস্তনতন্ত্রের কারণে পারুল বেগমরা দিনের পর দিন নির্যাতিত হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাস্তানদের সহযোগীতা করায় নিরীহ মানুষ মুখ বুজে জুলুম নির্যাতন সহ্য করে যাচ্ছে দিনের পর দিন।

তিনি বলেন, জাতি হিসেবে এই ঘটনা সবাইকে অত্যন্ত হেয় প্রতিপন্ন করেছে। কোন গণতান্ত্রিক দেশে এমন ঘটনা কল্পনা করা কঠিন। এই ঘটনা দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, মৌলিক মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হুমকির সম্মুখীন করেছে বলে মন্তব্য করেন ।

তিনি আরো বলেন, এই লজ্জা শুধু পারুল বেগম বা তার পরিবারের নয়, সমগ্র জাতির। সে নির্যাতিত নয় বরং নির্যাতিত হয়েছে মানবাধিকার।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এসময় নির্যাতিতার চিকিতসার খোঁজ খবর নেওয়ার পর তাকে নগদ অর্থ সহায়তা দেন।

অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, ভোটের অধিকার থেকে আওয়ামী লীগ মানুষকে বঞ্চিত করেছে। তাদের প্রতারিত করেছে। যেহেতু তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে, মানুষের বিরুদ্বে অবস্থান নিয়েছে সেজন্য তারা এখন শত্রুতে পরিণত হয়েছে।

জনগণের বিরুদ্বে আওয়ামী লীগের অবস্থান নেওয়া দেশের রাজনীতিতে একটা দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করবে। আমরা মনে করি, একটা অন্ধকার যুগে প্রবেশ করল। বাংলাদেশকে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন করার তাদের যে নীল নকশা, সেদিকে তারা এগিয়ে গেল।

হাসপাতালে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ক্যাপ্টেন অব: ইব্রাহিম, ইসলামী কৃষক-মজুর আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কবির, জেলা সভাপতি হাফেজ মাও. নজীর আহমাদ, মাও. শহীদুল ইসলাম, মাও. ফিরোজ আলম, আবদুল হান্নান।

/সিএইচ

Comments