ধর্ষণের অপরাধ স্বীকারকারীদের ফায়ারিং স্কয়ার্ডে দিয়ে হত্যা করা উচিত: শেখ সেলিম

প্রকাশিত: ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০১৯

ডেস্ক: ধর্ষনের অপরাধ স্বীকারকারীদের ফায়ারিং স্কয়ার্ডে বিচার চেয়ে সংসদে বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেছেন, এই সমস্ত অপরাধীদের ফায়ারিং স্কয়ার্ডে দিয়ে গুলি করে হত্যা করা উচিত।

সোমবার জাতীয় সংসদে জাতীয় সংসদের প্রবীন সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ কাযপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সেই আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, এই জঙ্গীবাদ, এই সন্ত্রাস বাংলাদেশকে গ্রাস করে ফেলেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে। শেখ হাসিনাকে ১৮ বার হত্যার চেষ্টা করা হলো। এই বাংলা ভাই, শায়েখ আবদুর রহমান এদের পৃষ্ঠপোষকতা করলো একটি রাজনৈতিক দল।

তিনি বলেন, নুসরাতকে কীভাবে হত্যা করা হলো? এরা কী মানুষ? এরা পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট। এটার জন্য কঠিন আইন মানে কী? ১০ দিন, ১৫ দিন বা ১ মাসের মধ্যে এদের ফায়ারিং স্কয়ার্ডে দিয়ে এদের গুলি করে হত্যা করা উচিত। এই ধরণের আইন করা উচিত। স্বীকার যখন করেছে তখন আর কোর্টে যাওয়ার কোনো দরকার নেই।

শেখ সেলিম বলেন, পৃথিবীতে যে হানাহানি হচ্ছে, এই যে জঙ্গীবাদ। ধর্মের নামে যে সন্ত্রাস। সকল ধর্মকে আজ বিতর্কিত করে দিচ্ছে। তারা কী পাচ্ছে? মানবতা কোথায়? ধর্মের নামে ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আমাদের এখানে বিতাড়িত করেছে। এই রাষ্ট্র কী আমরা চেয়েছিলাম? এই পৃথিবী কী আমরা চেয়েছিলাম?

তিনি বলেন, কীসের ইসলামিক স্টেট? এটা কী কোরআন শরীফে আছে যে সারা পৃথিবীতে একটা স্টেট হবে? ধর্মের নামে এরা কথা বলে। যারা আহত হয় ইসরাইল তাদের সেবা করে। এই পৃথিবীতে এটা হতে পারে না।

এখন সময় এসেছে এর বিরুদ্ধে গোটা পৃথিবীকে রুখে দাড়াতে হবে। যারা মানবতাবাদী নেতা, যারা মানবতায় বিশ্বাস করে, যারা মানবকল্যাণে বিশ্বাস করে সমস্ত শক্তিকে। আর কিছু কিছু রাষ্ট্র তো এদের ইন্ধন দিয়ে যায়।

তিনি বলেন, এই সব অপকর্মের হোতা হচ্ছে ফেসবুক। আজকে ডিজিটাল করতে গিয়ে যে কী ক্ষতি হয়েছে-এরা এদেরকে উস্কানী দেয়। এই জায়ান হত্যার পরেও এমন সব স্ট্যাটাস তারা দিয়েছে আমি এখানে বলতে চাই না। আমি আমার ডিজিটাল মন্ত্রণালয়কে বলি দেখেন কী সব আজে-বাজে কথা বলছে। এরা মানুষ না, এরা পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট। এরা সব কিছু করতে পারে।

আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বলেন, এই সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ এই অমানবিক ব্যাপারে আমাদের বোধহয় আরেকটা নতুন কঠোর আইন করা উচিত। যে আইনে তদন্ত বেশিদিন চলবে না। এক মাসের ভেতর সব কিছুকে ফয়সালা করে তাদের বিচার করা হবে। শাস্তি দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ আমরা শান্তির বাংলাদেশ চাই। বিশ্ব বিবেককে বলি, আগে অস্ত্র নিয়ে খেলেছো এখন জঙ্গী আর সন্ত্রাসী নিয়ে পৃথিবীতে খেলো না। মানুষ যাতে ধ্বংস হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে মানব জাতি পৃথিবীতে আর মাথা উচু করে দাড়াতে পারবে না।

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জায়ান চৌধুরীর বাবা যেন সুস্থ হয়ে ওঠে সে জন্য দোয়া কামনা করে তিনি বলেন, আপনারা দোয়া করবেন আমার মেয়ে যেন এই ব্যাথা থেকে উঠতে পারে। সে কথা বলতে পারে না। তাকে শক্তি যেন আল্লাহ দেন। আপনাদের দোয়া এবং আশীবার্দ নিয়ে যেন আমার মেয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

/আরএ

Comments