ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরোধ

প্রকাশিত: ২:৪১ অপরাহ্ণ, জুন ২৪, ২০১৯

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রেখেছে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। কার্যালয় থেকে কাউকে বের হতে বা কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। কাউন্সিলের তফসিল বাতিল, বয়সসীমা প্রত্যাহার ও আন্দোলনকারীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ কয়েকটি দাবিতে কার্যালয় অবরোধ করে বিক্ষুব্ধরা।

আজ সোমবার দুপুর ১২টার পরে কয়েকজন বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে তারা বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের কাছে লাঞ্ছিত হন।

ছাত্রদলের কমিটিতে বয়সসীমা নির্ধারণ না করে ধারাবাহিক কমিটি গঠনের দাবিতে চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজও নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন তারা।

আগামী ১৫ জুলাই ছাত্রদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে, যা বাতিলের দাবি করেছে বিক্ষুব্ধরা।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কমিটির পক্ষে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা মিছিল সহকারে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাদের সামনে আসলে কমিটির পক্ষের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে চলে যায়। তারপর থেকেই ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তাদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে।

গত শনিবার দলীয় শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রদলের ১২ নেতাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। বহিষ্কৃতরা গত ১১ জুন থেকে বয়সসীমা বাতিল করে ধারাবাহিক কমিটির দাবিতে আন্দোলন করছেন।

বহিষ্কৃতরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বাশার সিদ্দিকী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহিরউদ্দিন তুহিন, ছাত্রদলের ভেঙে দেওয়া কমিটির সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, ইখতিয়ার কবির, জয়দেব জয়, মামুন বিল্লাহ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, বায়েজিদ আরেফিন, সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক দবির উদ্দিন তুষার, সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আজম সৈকত, আব্দুল মালেক ও সাবেক কমিটির সদস্য আজীম পাটোয়ারী।

আন্দোলনকারীদের মধ্যে যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে অবিলম্বে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে আন্দোলনকারীরা।

Comments