হামদর্দ ল্যাবরোটরিজের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা

প্রকাশিত: ১১:৩৪ অপরাহ্ণ, জুন ৯, ২০১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক : রুহ আফজা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে সম্প্রতি নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষ আইনে পাঁচটি ধারায় মামলা হয়েছে।  মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যার হাকিম ইউসুফ ও হাকিম সাইফুদ্দিনকে আসামি করা হয়।  বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোঃ কামরুল হাসান এ মামলা করেন ।
হামদর্দ ল্যাবরোটরিজ বাংলাদেশ উৎপাদিত রুহ আফজা স্বাস্থকর, ফলের শরবত, গোলাপ ফুলসহ বিভিন্ন হারবাল উপাদানের নির্যাস দিয়ে তৈরির কথা বলা হলেও আসলে এই ধরনের কোন উপাদানই নেই পানীয়টিতে। কেবল বেশি লাভের আশায় মিথ্যা তথ্য প্রচারের মাধ্যমে ভোক্তাদের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে প্রতারণা করে পণ্যটি বিক্রি করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।
হামদর্দ ল্যাবরোটরিজ বাংলাদেশ উৎপাদিত পানীয় রুহ আফজা আঙ্গুর, আপেল, তরমুজ.কমলাসহ বিভিন্নরকম ফল, গোলাপের নির্যাস দিয়ে তৈরি করা হয় বলে প্রচার ও বাজারজাত করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় রুহ আফজা জ্বর,বমি, বদ হজম, মাংসপেশীর খিচুনী, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন রোগের ঔষুধ হিসেবে কাজ করে বলে প্রচার করা হয়।
তবে নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে রুহ আফজায় কোন ধরনের স্বাস্থ্যকর বা ঔষুধী উপাদান নেই বরং অতিরঞ্জিত, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে বাংলাদেশে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অসংখ্য ভোক্তার দৃষ্টি আকষর্ণের অপকৌশল মাত্র।
নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষ আইনে পাঁচটি ধারায় লঙ্ঘনের অবিযোগে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরে মামলা করেন খাদ্য কতৃপক্ষ।
গত ১৬ মে ভেজাল বিরোধী অভিযানের সময় কর্তৃপক্ষ সন্দেহবশত ‘রুহ আফজা স্বাস্থ্যকর ফলের শরবত’ সংগ্রহ করেন। এ শরবতের দাম ৮৮০ টাকা। পরে এ পণ্য সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, টিভি ও ইউটিউবে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি বিভিন্ন মূল্যবান ঔষধি গাছের নির্যাস আছে বলে বিজ্ঞাপনে উল্লেখ্য করা হয়। অথচ আসল পণ্যের সাথে এসব বিজ্ঞাপনের কোনো মিল নেই। এটি এক ধরনের ধোঁকাবাজি। ৩৫ ফলের রস দিয়ে তৈরি, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ হালাল পানীয়সহ নানা ধরনের মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন প্রচার ও ওয়েব সাইটে মিথ্যা তথ্য প্রকাশের দায়ে এ মামলা করা হয়।
এ ছাড়া এর কার্যকরিতা সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে সুপষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, রোজা রাখার পর এটি পান করলে পানি শূণ্যতা, ক্লান্তি দূরসহ প্রায় ৫০টি রোগের উপশম হয়। অথচ কিভাবে রোগ দূর হয় তার কোনো ব্যাখ্যা নেই।

Comments