পাহাড়ি গোষ্ঠীর পাল্টাপাল্টি হামলায় ‘ইউপিডিএফ’ ও ‘জনসংহতি’র দুই কর্মী খুন

প্রকাশিত: ১:১৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০১৮

একুশনিউজ: রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় পাল্টাপল্টি হামলায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) দুই কর্মী খুন হয়েছে।

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক সদস্যকে গুলি করে হত্যার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) এক কর্মী হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের সুত্রে পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে  একদল দুর্বৃত্ত নানিয়ারচর উপজেলার ২ নম্বর সাবেক্ষং ইউনিয়নের ফরেস্ট অফিস এলাকায় ইউপিডিএফ সদস্য জনি তঞ্চঙ্গাকে গুলি করে হত্যা করে।

ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলার সভাপতি কুনেন্টু চাকমা এ হত্যাকাণ্ডের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (এমএন লারমা) দায়ী করেন।

অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) অন্যতম শীর্ষ নেতা ও নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এসব ইউপিডিএফের মিথ্যা অপপ্রচার, ভাঁওতাবাজি।

তিনি বলেন, গুম, খুন, হত্যার রাজনীতি তারাই করে, আমরা নই।

জনি তঞ্চঙ্গাকে হত্যার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) দুই সদস্য পঞ্চায়ন চাকমা ওরফে সাধন চাকমা (৩০) ও কালোময় চাকমাকে (২৯) পেরাছড়া এলাকা থেকে দুর্বৃত্তরা অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন জনসংহতি নেতা সুদর্শন চাকমা।

অপহরণের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কেঙ্গালছড়ি এলাকা পঞ্চায়ন চাকমার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ি করে জনসংহতি নেতা সুদর্শন চাকমা বলেন, ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরাই এই অপহরণ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

সুদর্শন চাকমা বলেন, পঞ্চায়ন চাকমার গলাকাটা লাশ পাওয়া গেলেও কালোময় চাকমার ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা জানা যায়নি। এখনো তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেন সুদর্শন চাকমা।

/এমএম

Comments