নিষেধাজ্ঞা শেষ, আজ থেকে আবার শুরু ইলিশ ধরা

প্রকাশিত: ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০১৮

একুশ ডেস্ক: একটানা ২২ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয়েছে ইলিশ ধরা। গত ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সাত হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল মৎস্য মন্ত্রণালয়।

একটি মা ইলিশ সর্বনিম্ন দেড় লাখ ও সর্বোচ্চ ২৩ লাখ পর্যন্ত ডিম দেয়। ইলিশ মূলত লোনাপানির মাছ। ডিম ছাড়ার আগেন তারা নদীর মিঠাপানিতে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে। আর এ জন্যই ২২ দিন বন্ধ রাখা হয় ইলিশ ধরা।

বিচ্ছন্নভাবে অল্প কিছু সংখ্যক জেলে কখনো কখনো এ নিষেধাজ্ঞা না মেনে ইলিশ ধরলেও বেশি সংখ্যকই বিরত ছিলো তা খেকে। টানা ২২ দিন পর তাই আবারও নদীতে ইলিশ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা। ইতোমধ্যে জেলেরা বেশ প্রস্তুতিও নিয়েছেন। ঠিকঠাক করেছেন জাল-নৌকাসহ মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ

জানা গেছে, গতরাত রাত ১২টার পর থেকেই জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে নেমে পড়েছেন।

চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার শাহের খালী থেকে হাইতকান্দী পয়েন্ট, ভোলার তজুমুদ্দীন উপজেলার উত্তর তজুমুদ্দীন থেকে পশ্চিম সৈয়দপুর আওলিয়া পয়েন্ট, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতা চাপালি পয়েন্ট ও কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর কুতুবদিয়া থেকে গণ্ডামার পয়েন্ট পর্যন্ত ইলিশের প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

মৎস্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যেই চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরীয়তপুর, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গোপালগঞ্জ জেলার সকল নদ-নদীতে এ সময় সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়েছিল।

বিআইজে/

Comments