তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে সরকার পাতানো নির্বাচনের চক্রান্ত করছে: খুলনায় চরমোনাই পীর

প্রকাশিত: ৭:৪৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০১৮

শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা প্রতিনিধি: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই বলেছেন, তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে সরকার পাতানো নির্বাচন করার চক্রান্তে মেতে উঠেছে।

শুক্রবার ( ৯ নভেম্বর ‘১৮) বিকাল ৩টায় নগরীর নিউ মার্কেট সংলগ্ন বায়তুন নূর মসজিদ চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার উদ্দ্যোগে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেশের সর্বস্তরের মানুষের গণদাবিতে পরিনত হয়েছে। দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের যোক্তিক দাবীকে উপেক্ষা করে জাতীয় নির্বাচনের জন্য কোন রকম সুষ্ঠ পরিবেশ তৈরী না করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের তফসিল ঘোষণা দেশবাসীর জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয়।

তিনি বলেন, দেশবাসী চায় সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন রাজৈনিক দলগুলোকে আস্থায় না নিয়ে তফসিল ঘোষণা করায় জনগণ চরম হতাশ হয়েছে।

আমরা আশা করবো ক্ষমতাসীন সরকার এবং নির্বাচন কমিশন সকল রাজনৈতিক দলের জন্য গ্রহণযোগ্য এবং নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরী করবে।

কাঙ্খিত পরিবেশ তৈরীর জন্য এ সময় তিনি নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।

জনসভা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি ও খুলনা-৩ নং আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক এর সভাপতিত্বে ও নগর সহ-সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দীন, নগর জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা ইমরান হুসাইন ও জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারী ইঞ্জিনিয়ার এজাজ মানসুরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব ও খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ।

এ সময় ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর আব্দুল আউয়াল বলেন, দেশের সম্পদ লুটকারীরা কখনো দেশ প্রেমিক হতে পারে না। নির্বাচনে দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীদের অযোগ্য ঘোষণার দাবি জানান তিনি এবং সর্বস্তরের নেতাকর্মীদেরকে সকল মানুষের কাছে হাতপাখার দাওয়াত পৌছে দেয়ার আহ্বান জানান।

মহাসচিব মাওঃ ইউনুছ আহমদ বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠনগুলো জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার মতামত দিয়েছিলো।

নির্বাচন কমিশনও এ নিয়ে আশ্বস্ত করেছিলো। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে।

তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তোড়জোড় করে ইভিএম মেশিন ক্রয় এবং এ সংক্রান্ত আইন পাশ করা ডিজিটাল কারচুপির চক্রান্তের নমুনা।

ভোটারবিহীন সরকারের দিক থেকে ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলেই এখন ডিজিটাল মেশিনে কারচুপির ওপর নির্ভর করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

জনসভায় সভাপতি তার বক্তব্যে আজকের জনসভা ডাকবাংলা সোনালী ব্যাংক চত্ত্বরে করতে না দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানান।

জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান, নগর সহ-সভাপতি মাওঃ মুজাফ্ফার হোসাইন, জেলা সহ-সভাপতি ও খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওঃ আবু সাঈদ, নগর সেক্রেটারী মুফতী আমানুল্লাহ, জেলা সেক্রেটারী শেখ হাসান ওবায়দুল করীম, সৌদিআরব শাখার সেক্রেটারী মাওঃ হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিব, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ গোলাম মোস্তফা সজিব, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, এ্যাডভোকেট কামাল হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

জনসভায় চরমোনাই পীর খুলনার ৬ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের খুলনাবাসীর কাছে পরিচয় করিয়ে দেন।

/আরএ

Comments