বাল্য বিয়ে দিতে গিয়ে জরিমানার শিকার হরিণাকুন্ডুর ৪ ইউপি চেয়ারম্যান!

প্রকাশিত: ৩:২০ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ প্রভাব খাটিয়ে একটি বাল্য বিয়ে দিতে এসে ফেঁসে গেছেন ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ড উপজেলার চার চেয়ারম্যান।  এ সময় তারা হরিণাকুন্ডু উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারী গাড়ি ব্যবহার করেন।

দন্ডিত চেয়ারম্যানরা হলেন, হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা সমির উদ্দিন (৫৪), ফলসি ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান (৫৬), চাঁদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা (৫৮) ও দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বুড়ো (৫৭)।

তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে সর্বমোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।

ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার ঝাউদিয়া এলাকায়।

কুষ্টিয়ার ইবি থানার ওসি রতন শেখ জানান, গত বুধবার দুপুরে ইবি থানার ঝাউদিয়া গ্রামে দশম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হলে ভিআইপি স্টাইলে ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ড উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারী গাড়ি নিয়ে ওই চার ইউপি চেয়ারম্যানসহ হরিনাকুন্ডুর কুলবাড়িয়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে বর রাসল বরযাত্রী নিয়ে উপস্থিত হন।

এ সময় বাল্যবিয়েতে বাঁধা দেওয়া হলে নানা রকম প্রভাব খাটান আওয়ামীলীগ সমর্থিত ওই চার চেয়ারম্যান। তারা বিয়ে দিতে নাছোড়বান্দা। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই চার চেয়ারম্যানকে ১০ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে মেয়ের পিতা মিলন বিশ্বাস ও মেয়ের খালাতভাই মিনারুল হোসেনকে ৪ দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরী। ঝাউদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কেরামত আলী খবরের সত্যতা স্বীকার করেন।

দন্ডিত চেয়ারম্যানদের মধ্যে দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বুড়ো জানান, আমরা তো বিষয়টি জানতাম না। কারণ বিয়ে তো আগেই কোর্ট থেকে হয়ে গেছে। বরযাত্রী হিসেবে আমরা সেখানে উপস্থিত হয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ি। তবে তিনি আর্থিক জরিমানার কথা অস্বীকার করেন।

এমএম/

Comments