প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একজন নির্বাচনে অন্যজন জেলে! এটা হতে পারে না: কামাল

প্রকাশিত: ৪:৫১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০১৮

ডেস্ক: ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গনফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, গত পাঁচ বছরে আমরা দেশে কোনো গণতন্ত্র দেখতে পাইনি।

জনগণের শাসন থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এই পাঁচ বছরে জনগণকে বঞ্চিত করা হয়েছে গণতন্ত্র থেকে, বঞ্চিত করা হয়েছে সংসদীয় শাসন থেকে।

এ সময় খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে ড. কামাল বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তি চাই। তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে পরিত্যক্ত জেলখানায় রেখে নির্বাচন হতে পারে না।

তিনি বলেন, একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচন করবেন, অন্যজন জেলখানায় থাকবেন, এটা হতে পারে না।

আজ শনিবার সুপ্রিমকোর্ট চত্বরে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত আইনজীবীদের মহাসমাবেশে এসব কথা বলেন ড. কামাল।

ড. কামাল বলেন, এই দেশের মালিক জনগণ। তারা ভোটের মাধ্যমে দেশের শাসনক্ষমতা নির্ধারণ করবে। কিন্তু দেশের মানুষকে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করে ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে।

সরকারের উদ্দেশ্যে ড. কামাল বলেন, ২০১৪ সালে কোর্টে দাঁড়িয়ে আপনারা কী বলেছিলেন কথাগুলো কি মনে নাই।

দ্রুত নির্বাচনের কথা বলে পাঁচ বছর চলে গেল। এখন কথা হচ্ছে, দ্রুত নির্বাচন মানে কি ৫ বছর? এটা কি বাংলা অভিধানে নতুন করে যুক্ত হওয়া শব্দ। অল্প মানে ৫ বছর। ভাঁওতাবাজির সীমা থাকা উচিত।

ড. কামাল হোসেন বলেন, সরকার ভাঁওতাবাজি করেছে। ভাওতাবাজির জন্য তাদের গোল্ড মেডেল দেওয়া উচিৎ।

সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ও জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে সমাবেশে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, গণফোরামের কার্যকরি সভাপতি সুব্রত চৌধুরীসহ আরো অনেকে বক্তৃতা করেন।

/আরএ

Comments