একুশ নিউজ: বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর প্রার্থিতার বাতিলের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানির শেষ দিনে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা আপিলের বিষয়টি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। আপিল শুনানি শেষে তৃতীয় দিন শনিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে  নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

শুনানিতে জানানো হয়, কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করে পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। সম্প্রতি সরকার বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যুক্ত হওয়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এ নেতা টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতি) ও টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল, সখিপুর) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।

কিন্তু গত ২ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম যাচাই–বাছাইয়ের পর ঋণ খেলাপিসহ বিভিন্ন ত্রুটির কারণে তার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন।

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলাকালে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সোনার বাংলা প্রকৌশল সংস্থা ঋণ খেলাপির তালিকায় আছে বলে অগ্রণী ব্যাংক টাঙ্গাইল শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. নাজিম উদ্দিন রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। এ সময় কাদের সিদ্দিকীর বিষয়টি নিয়ে জানতে চান রিটার্নিং কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমার বলার তেমন কিছু নেই। অনেক বড় অর্থশালী মানুষ সালমান এফ রহমানের ৪ হাজার ৫৪৩ কোটি টাকা ২৫ বছরের জন্য বিনা সুদে ব্লক করা আছে। এটা সত্য যে ব্যাংক আমাদের কাছে টাকা পায়, আমরা সে টাকা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। এ নিয়ে তিনবার ভোটে দাঁড়ানো থেকে বঞ্চিত হলাম।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, যা হয়েছে সব সরকারের ‘ইচ্ছাতেই’ হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে আপিল করবেন।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রধান কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন অবৈধ করা হলেও টাঙ্গাইল-৮ আসনে তার মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদারের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল-৪ আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই আজাদ সিদ্দিকী ও লিয়াকত আলীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।

/সিএইচ

Comments