সাতক্ষীরা-৪ আসনে সাবেক সাংসদ কাজী আলাউদ্দীনকে চায় তৃণমুল বিএনপি

প্রকাশিত: ৯:৩৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০১৮

রেদোয়ানুল ফেরদেীস রনি, কালীগঞ্জ, সাতক্ষীরা: আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দীন আবারও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সাতক্ষীরা-৪ আসনে নির্বাচন করতে চান।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ১২টি এবং কালীগঞ্জ উপজেলার ৮টিসহ ২০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসন।

কাজী আলাউদ্দীন বলেন, বর্তমানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং জেলা সহ-সভাপতি।

২০০৯ সাল থেকে তিনি জনগণের কাছে এসে ধানের শীষের পক্ষে নিরবচ্ছিন্ন প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাবেশে উপস্থিত থেকে জনসংযোগ করেছেন।

তিনি বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্যে তিনি অনেক মামলায় জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। তা সত্ত্বেও জনগণের উন্নয়ন ভাবনা থেকে সরে যাননি।

তিনি বলেন, ‘আমার এলাকায় ৩টি ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ তৈরি করেছি। জাফরপুরে কাজী আলাউদ্দীন ডিগ্রি কলেজ ও রাজাপুরে কাজী আলাউদ্দীন হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি।

কালীগঞ্জে ফায়ার ব্রিগেড স্টেশন এবং দুই উপজেলার গ্রামজুড়ে ১৬০ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন বসিয়ে উন্নয়নের সূচনা করেছি।

কাজী আলাউদ্দিন আরও বলেন, কাকশিয়ালি নদীর ওপর সেতু নির্মাণ ও এলাকাজুড়ে রাস্তাঘাট- কালভার্ট নির্মাণ করে জনস্বার্থে কাজ করেছি।

এ ছাড়াও বহু স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির নির্মাণ ও সংস্কার করেছি। আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে পারবো। এজন্য দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছি।

এদিকে সাতক্ষীরা-৪ আসনে বিএনপি’র তৃণমুল নেতাকর্মীরা কাজী আলাউদ্দীনের পাশে আছেন। কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাডঃ আব্দুস সাত্তার, সাধারন সম্পাদক নূর মোহাম্মদ বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা মোহাম্মাদ আলী, শ্যামনগর উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান সাকেদুর রহমান সাদেম, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান শেখ এবাদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি রবিউল্যাহ বাহার, সাধারন সম্পাদক রেদওয়ান ফেরদৌস রনিসহ অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ জানান, কাজী আলাউদ্দীন সাতক্ষীরা-৪ আসনে সাংসদ থাকাকালে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। আমরা তৃণমূল বিএনপি এবারও তাকেই দলীয় প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই।

তারা বলেন, তিনি ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত সৎ, পরিশ্রমী ও অহিংসপরায়ণ। তিনি বিএনপি’র সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সময় ২০টি ইউনিয়নে গনসংযোগ করেন।

তিনি দুটি রাজনৈতিক মামলার শিকার হন। কিন্তু সব সময় নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন। এজন্য তার প্রতি বিএনপি’র তৃণমুল নেতাকর্মীরা আস্থা রেখেছেন।

/আরএ

Comments