জাপার মনোনয়ন বঞ্চিতরা দল ছাড়ছেন

প্রকাশিত: ১২:৩০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০১৮

দল ছাড়তে শুরু করেছেন মহাজোটের মনোনয়ন পাননি জাতীয় পার্টির এমন নেতারা। ক্ষুব্ধ এসব নেতার কেউ কেউ এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।

কেউ রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা বলেছেন, কেউ নিষ্ক্রিয় থাকবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। বিএনপিতে যোগ দেওয়া দুজনের একজন মনোনয়নও পেয়েছেন।

এমনকি মনোনয়নবঞ্চিতদের একটি অংশ গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভাঙচুর করে। এরপর দলের নেতারা পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত অফিসে তালা লাগিয়ে দেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আওয়ামী লীগের কাছে যে তালিকা দিয়েছিলেন সে তালিকায় লালমনিরহাট-২ আসনের প্রার্থী ছিলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সমাজকল্যাণ সম্পাদক রোকনউদ্দিন বাবুল।

ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। আওয়ামী লীগ আসনটিতে ছাড় দেয়নি। মহাজোটের প্রার্থী হতে না পেরে রোকনউদ্দিন বাবুল বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রোকনউদ্দিন বাবুল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অনেক ত্যাগ স্বীকার করে জাতীয় পার্টি করি, কিন্তু নির্বাচন এলে পার্টির কাছে কোনো মূল্যায়ন পাই না। সে কারণে মনে করেছি, এ দল করার কোনো মানে হয় না।’

গাইবান্ধা-২ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ওই আসনের দুইবারের সাবেক এমপি আবদুর রশিদ সরকার। তিনি গাইবান্ধা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান এমপি প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় মাহবুব আরা গিনি। জাতীয় পার্টি এ আসনের জন্য কোনো দাবিই তোলেনি। ক্ষুব্ধ হয়ে আবদুর রশিদ সরকার বিএনপিতে যোগ দিয়ে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন। আবদুর রশিদ সরকার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি জাতীয় পার্টিতে নেই, এটাই শেষ কথা।’

ফেনী-৩ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রচার ও প্রকাশনা উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন রিন্টু জাতীয় পার্টি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন, একই সঙ্গে তিনি রাজনীতি না করার ঘোষণাও দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই আসনে গণসংযোগ করে এলেও হঠাৎ মেজর জেনারেল মাসুদউদ্দিন চৌধুরীকে মহাজোটের মনোনয়ন দেওয়া হয়। ক্ষুব্ধ আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, তিনি জাতীয় পার্টি ছাড়ছেন, রাজনীতিও করবেন না।

জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম রুবেল ঢাকা-৫ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। পার্টির পক্ষ থেকে তাঁকে মানিকগঞ্জ জেলাকে সংগঠিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তিনি অঢেল অর্থ খরচ করে মানিকগঞ্জে জাতীয় পার্টিকে একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করান। জাতীয় পার্টির দেওয়া মহাজোটের তালিকায় তাঁর নাম নেই।

জহিরুল হক রুবেল কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, তিনি এখন থেকে পার্টিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবেন।

Comments