‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’র গোড়াপত্তনের ইতিহাস

প্রকাশিত: ৫:৩০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৯
একাডেমি অভ্যন্তরে বইমেলার গোড়াপত্তনকারী প্রতিষ্ঠনা ‘মুক্তধারা’র স্টল। ছবি: একুশ নিউজ (এসএস)

একুশ প্রতিবেদক: ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ ক্রমেই বাঙালির প্রাণের মেলায় পরিণত হয়ে উঠছে। প্রতি বছরই বাড়ছে এর প্রচার, প্রসার ও পরিধি। জৌলুস পূর্ণ এ প্রাণের মেলার শুরুটা ছিলো একেবারেই নিষ্প্রভ। তবে সেই শুরু থেকেই প্রাণ পেয়েছে আজকের এই বইমেলায়।

১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চিত্তরঞ্জন সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বর্ধমান হাউজ প্রাঙ্গণে বটতলায় এক টুকরো চটের উপর বসে কলকাতা থেকে আনা ৩২টি বই সাজিয়ে বইমেলার গোড়াপত্তন করেন।

এই ৩২টি বই ছিলো চিত্তরঞ্জন সাহা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদ (বর্তমান মুক্তধারা প্রকাশনী) থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশী শরণার্থী লেখকদের লেখা বই।

এরপর ১৯৭৮ সালে বইমেলার সাথে বাংলা একাডেমিকে যুক্ত করেন তৎকালীন মহাপরিচালক আশরাফ সিদ্দিকী। ১৯৭৯ সালে যুক্ত হয় সেই চিত্তরঞ্জন সাহা প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি।

বইমেলার সব বই ঘরে বসে পাওয়া যায় রকমারি অনলাইনে

১৯৮৩ বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কাজী মনজুরে মওলা বাংলা একাডেমিতে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ নামে মেলার আয়োজন সম্পন্ন করলেও মেলা আর হয়নি তৎকালীন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে দু’জন ছাত্র মারা যাওয়ায়।

এরপর ১৯৮৪ সালে নতুন করে সাড়ম্বরে বর্তমান ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’র সূচনা হয়। সেই যে শুরু আর পেছনে ফিরতে হয়নি। ২০১৪ সালে বাংলা একাডেমিতে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মেলা সম্প্রসারণ হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত।

এরপর ২০১৫, ১৬’ ১৭’ ১৮’। একুশে বইমেলা পরিণত হয়েছে বাংলা ও বাঙালির প্রাণের মেলায়। বইমেলার সেকাল-একালে পার্থক্য খুঁজতে হলে এইটুকু ইতিহাসেই খুঁজতে হবে।

আরো পড়ুন..
বিশ্বজুড়ে বইমেলা; জেনে নিন ইতিহাস ও ইতিবৃত্ত

/এসএস

Comments