খুলনা একুশে বইমেলায় পাঠক সমাগম বাড়ছে

প্রকাশিত: ১২:৫৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯

বায়জিদ ফয়সাল, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি; খুলনা সরকারি গণঃগ্রন্থাগারে মাসব্যাপী শুরু হওয়া বইমেলায় বইপ্রেমীদের সমাগম বেড়েই চলছে। আজ ২১ ফেব্রুয়ারীতে এর সংখ্যা চোখে পড়ার মত। শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন শেষে পাঠকরা আসছেন বইমেলায়।

শিশু থেকে বৃদ্ধ বইয়ের টানে সবাই ছুটে এসেছে প্রানের বই মেলায়। তরুণদের পছন্দের তালিকায় যেমন আয়মান সাদিক, আরিফ আজাদ, ও চমক হাসানের বইগুলো স্থান পেয়েছে তেমনি ছোটদের পছন্দের তালিকায় স্থান পেয়েছে ভুতের গল্প ও রুপকথার গল্পের বই গুলো।

দেশের নামকরা প্রকাশনীর স্টল সংখ্যা ছিলো নামেমাত্র। তবে স্থানীয় লাইব্রেরী ও লেখক নতুন প্রকাশিত বই সংযোজনের মধ্য দিয়ে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্ঠা করে যাচ্ছেন।এ ব্যাপারে কাগজাত স্টলের একজন সদস্য তাইবুর তামিম বলেন- প্রথম কদিন এই বইমেলায় পাঠক নতুন বই না পাওয়ায় ফিরে যাচ্ছিলেন কিন্তু আমরা ঢাকা থেকে বই এনে তাদের চাহিদা পূরণ করতে পেরেছি। এজন্য লোক সমাগম বেড়ে্ই চলেছে। বই বিক্রি সম্পর্কে কাগজাত স্টলের অন্য এক সদস্য আশরাফুল ইসলাম পানু বলেন- সবচেয়ে বিক্রিত বইয়ের তালিকায় রয়েছে প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২, ভাল্লাগে না, স্টুডেন্ট হ্যাকস্, অঙ্ক ভাইয়া, রিচার্জ ইউর ডাউন ব্যাটারী, প্যারাময় লাইফের প্যারাসিটামল প্রভৃতি।

বই মেলায় ঘুরতে আসা এক শিক্ষার্থী শাহিন বলেন, গতবারের তুলনায় এবার বইমেলা অনেক সুন্দর হয়েছে। পছন্দের বইগুলো সহজলভ্যে কিনতে পেরেছি। তবে সব থেকে খুশির বিষয় হলো এবার বইমেলায় ভালোমানের এবং তরুণ লেখকদের বই বেশি চলছে তার মধ্যে অন্যতম আরিফ আজাদ,আয়মান সাদিক, ঝংকার মাহবুব, চমক হাসান অন্যতম। তাঁদের বই কিনতে পারায় অনেক উচ্ছাস প্রকাশ করেন তিনি।

মেলার আয়োজক সরকারি গণগ্রন্থাগার এর সহকারী সচিব ড. আহসান উল্লাহ বলেন, মেলাতে মোট ৯৫ টা স্টল রয়েছে তার মধ্যে বইয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮৪ টা। মেলার নিরাপত্তা বিষয়ে তিনি বলেন, সাদা পোশাকে এবং রঙিন পোশাকে পুলিশ সর্বদা নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত রয়েছে। আরো নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য পুরো বইমেলা প্রাঙ্গণে সিসি ক্যামেরা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে।

বিআইজে/

 

Comments