ফলাফল প্রত্যাখ্যান; পুনর্নির্বাচনের দাবি চরমোনাই পীরের (ভিডিও)

প্রকাশিত: ১:০০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১, ২০১৯

আহমাদ সাঈদ,বিশেষ প্রতিবেদক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলনের আমীর চরমোনাইয়ের পীর মুফতি সৈয়দ রোজাউল করীম।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় প্রতিক্রিয়ায় এ দাবি জানান চরমোনাই পীর।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দেোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম।

সম্পূর্ণ লিখিত বক্তব্য তুলে ধরা হলো:

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

সাংবাদিক বন্ধুগণ!
শত ব্যস্ততার মাঝেও আপনারা আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন এজন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি। আপনারা জানেন গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের কথিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনটি ছিল শতভাগ নিয়ন্ত্রিত। নজির বিহীন কারচুপি, জালভোটের ছড়াছড়ি ও ভোট ডাকাতির মহোৎসবের একটি মহড়া। দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি।

বিগত ৫ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা কয়েকটি দাবী করেছিলাম। তার অন্যতম দাবী ছিল, বর্তমান সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার গঠন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন। কিন্তু সরকার আমাদের এবং অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের দাবী না মেনে তরিঘড়ি করে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা করায়। আমরা তারপরও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে আমরা পূর্বেই বলেছিলাম, ‘পাতানো নির্বাচনের উদ্দেশ্য থাকলে প্রহসনের নির্বাচন দিয়ে রাষ্ট্র, জনগণ ও প্রার্থীদের এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করানোর প্রয়োজন নেই’।

সাংবাদিক ভাইয়েরা!
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন আমার উপর আস্থা রাখতে পারেন। নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে। নির্বাচন কমিশনও আশ্বস্ত করেছিলেন। তফসিল ঘোষণার পর সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিকট লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দাবি জানানোর পরও তারা তা করেনি। সরকার ও বেসরকারী প্রচার মাধ্যমগুলোতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলসমুহ সম্প্রচারের সমান সুযোগ পায় নাই। রেডিও টেলিভিশনে বিরোধী দলীয় প্রধানদের বক্তব্য সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয় নাই।

আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করার পরও প্রশাসন ছিল নিরব। পুলিশসহ সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ছিল সরকার দলীয় কর্মীদেকে বিরোধী দলীয় প্রার্থী ও কর্মীদের উপর আক্রমণের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া। নৌকার প্রার্থীকে সর্বোচ্চ ভোট দেখিয়ে দেশে রের্কড করার জন্য সর্বোচ্চ ভোট ডাকাতি করা। পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকতার নামে দলীয় ক্যাডারদের কার্ড দিয়ে কেন্দ্রে ঢুকিয়ে ব্যালট কাটার সুযোগ করে দেয়া। পূর্বেকার নির্বাচনগুলোতে কিছু কেন্দ্রে কারচুপি হত। এবার সকল আসনের সব কেন্দ্রেই ভোট ডাকাতি হয়েছে।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য নির্বাচন কমিশন, প্রশাসনের সকল বিভাগ সারাদেশের ৪০ হাজারের বেশি কেন্দ্রে নৌকা ও মহাজোটের প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য একযোগে কাজ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির কথা বলে ভোট চুরি ও ডাকাতি করেছে। পাকিস্তানী খানদের চেয়েও একধাপ এগিয়ে গিয়েছে।

দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ

সাংবাদিক ভাইয়েরা!
বিভিন্ন সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি অধিকাংশ ভোট নির্বাচনের আগের দিন রাতে সম্পন্ন হয়েছে। অর্থাৎ ২৯ তারিখ প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও জিম্মি করে ব্যালট পেপারে সীল মারা হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ২৯ তারিখ রাতে পিকনিক উৎসব করা হয়েছে। আমাদের লোকেরা চ্যালেঞ্জ করলে প্রশাসন তা অস্বীকার করে। রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করার প্রমাণ ৩০ তারিখ রাতের বিবিসির সংবাদ ‘চট্টগ্রামের পটিয়ায় ৩০ ডিসেম্বর ভোট শুরুর পূর্বেই ব্যালট বাক্স ভর্তি পাওয়া গেছে’।

আরো পড়ুন…
হাতপাখা দ্বিতীয় হয়েছে ২০ টি আসনে

ভোটের দিন সকাল ১০টা নাগাদ প্রতিটি কেন্দ্রে সরকার দলীয় ক্যাডার বাহিনী প্রশাসনের সহায়তায় প্রকাশ্যে সীল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও দুপুরে বিরতির নামে দরজা বন্ধ করে সরকারদলীয় লোকজন কোমলমতি শিশু-কিশোরদের দিয়েও ব্যালট পেপারে ব্যাপকভাবে সীল পিটিয়েছে। অধিকাংশ কেন্দ্র থেকে হাতপাখার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। কোথাও কোথাও মারধর করেছে, রক্তাক্ত করেছে। ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ নানা কৌশল অবলম্বন করেছে। সব কিছু মিলিয়ে সরকার দলের নিয়ন্ত্রনে হয়েছে নজির বিহীন কারচুপি, ভোট চুরি ও ভোট ডাকাতির একটি জঘণ্য ও কলঙ্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।

জাতির বিবেক সাংবাদিক বন্ধুগণ!
শত বাঁধা বিপত্তি উপক্ষো করেও যেসব ভোটারগণ ভোট দেয়ার জন্যে ভোট কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। তারাও নানা রকম হয়রানী ও নাজেহালের শিকার হয়েছেন। আমাদের অনেক পর্দানশীন মহিলা এবং বয়োবৃদ্ধ নিরীহ ভোটারদেরকে সরকার দলীয় লোকজন নৌকা এবং লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করেছেন। কেউ তাদের কথা মতো ভোট দিতে না চাইলে অপমান-অপদস্ত করে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। সম্মানিত ভোটারদের এহেন অপমান, অপদস্ত, হয়রানী ও বেইজ্জতি আমাদেরকে চরমভাবে ব্যাথিত করেছে।

একটি স্বাধীন দেশের সম্মানিত নাগরিকগণ তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করতে গিয়ে এভাবে অপমানিত ও অপদস্ত হবেন, তা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। এর দায় আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই নিতে হবে। সম্মানিত নাগরিকদের অপমান করে ক্ষমতায় আরোহণ করাটা তার জন্যে কিছুতেই গর্বের বিষয় নয় বরং লজ্জার। তাঁর যদি সত্যি আত্মসম্মানবোধ থাকে তাহলে নাগরিকদের অপমানের দায় নিয়ে তাকে পদত্যাগ করা উচিৎ।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ!
নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে শতভাগ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তারা না পেরেছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে, না পেরেছে প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রন করতে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ইঞ্জিনিয়ারিং করার জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করেছে যার মধ্যে ছিল ইন্টারনেট বন্ধ, গণমাধ্যম কর্মীদের ছবি তুলতে বিধি-নিষেধ আরোপ, টেন্ডারভোট পদ্ধতি ও তা গণনা না করা। এরকম নির্বাচনের নামে প্রহসন ও তামাশা জাতি স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও প্রত্যক্ষ করেনি।

যেহেতু ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সব আসনে অর্থাৎ ২৯৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। সব আসনে প্রার্থী থাকায় অনিয়মের বিষয়ে আমরা বেশি অবগত। আমরা বারবার নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এবং আমাদের নেতৃবৃন্দ সিইসির সাথে সাক্ষাত করে অভিযোগ দেয়ার পরও কার্যকর কোন ব্যবস্থা করেননি। সারাদেশে সংঘটিত অনিয়ম, কারচুপি ও ভোট ডাকাতির কিছু ধরণ তুলে ধরছি :-

১.খুলনা-১ আসনে মোট ভোটারের চেয়ে ২২,৪১৯ ভোট বেশি পড়েছে (মানবজমিন ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮)

২.বরিশাল-৫ আসনে মহিলাসহ ১২ হাতপাখার কর্মী মহাজোট কর্মীর হামলায় আহত হয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন আছেন।

৩. চাঁদপুর-১ আসনে প্রার্থী মাওলানা যোবায়ের আহমদের উপর হামলা করা হয়। তার গাড়ী ভাংচুর করে সহযোগীদেরও আহত করে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা।

৪. ঢাকা- ৪ আসনের প্রার্থী সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে ঢাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরী এলাকায় মহাজোটের কর্মীরা অবরুদ্ধ করে।

৫.ঢাকা- ১৩ আসনে (ইভিএম) ইলেক্ট্রনিক্স ভোট মেশিনে ভোট গ্রহণকৃত এলাকা সমূহের মধ্যে জাফরাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (৩৪ নং ওয়ার্ড), ব্লুমিং চাইল্ড স্কুল (৩৪ নং ওয়ার্ড), রায়ের বাজার কমিউনিটি সেন্টারসহ আরো অন্যান্য সেন্টারে লাইন থেকে বের করে দেয়া, ক্যাম্প ভেঙ্গে দেয়া, ভোটের মেশিন নষ্ট ও মেশিনে সমস্যা দেখিয়ে ভোটারদেরকে ভোট দিতে দেয়া হয়নি।

৬. নাটোর-১ আসনে ১ নং লালপুর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড বালিতিতা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার না দিয়ে ভোটারদের হাতে কালি দিয়ে ভোটের সুযোগ না দিয়েই বের করে দেওয়া হয়।

৭. নোয়াখালী-২ আসনে ১০৩ কেন্দ্রের সকল কেন্দ্রেই সকাল ১১টার মধ্যে ভোটকেন্দ্র দখল করে নৌকায় প্রকাশ্যে সিল মারা হয়।

৮.চাঁদপুর-৩ আসনে ৩ নং কল্যাণপুর ইউনিয়নে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় ৫ হাতপাখার কর্মী আহত হয়।

৯. ময়মনসিংহ-১০ আসনে সকাল ৯টার মধ্যে হাতপাখার সকল এজেন্টকে বের করে দিয়ে আওয়ামী এজেন্ট কর্তৃক নৌকায় সিল মেরে ব্যালটবাক্স ভর্তি করা হয়।

১০. সুনামগঞ্জ-১ আসনে বেলা ১২ টায় ব্যালট পেপার শেষ এবং বিভিন্ন আসনে নৌকা ও লাঙ্গলে জোরপূর্বক সিল মারা হয়।

১১. জয়পুরহাট-২ আসনে গোবিনাথপুর কেন্দ্র, গার্লস উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে জোরপূর্বক সিল মারা হয়।

১২. বগুড়া-৩ আসনে প্রার্থীর গাড়ী ইউএনওর সামনে পৌর মেয়র বেলালের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নিয়ে যায়।ক্স নোয়াখালী-২ আসনে ১০৩ কেন্দ্রের সকল কেন্দ্রেই সকাল ১১টার মধ্যে ভোটকেন্দ্র দখল করে নৌকায় প্রকাশ্যে সিল মারা হয়।

১৩. শেরপুর-১ আসনে সকল এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার এ ব্যাপারে অভিযোগ গ্রহণ করেননি।

১৪. ঢাকা-৬ আসনে দক্ষিণ মহসিন গার্লস স্কুল থেকে ইমরান নামে এক এজেন্টকে আটক করে ভোট শেষে ছেড়ে দেয়া হয়।

১৫. ঢাকা-১৬ আসনে মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে বোমা ফাটিয়ে কেন্দ্র দখল করা হয় এবং ভোটারদের প্রতি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।ক্স সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে সহকারী রিটানিং অফিসার লিখিত অভিযোগ নিতে অস্বীকার।

১৬. বগুড়া-৭ আসনে রামেরশাপুর, সোনারায় দক্ষিণপাড়া কানৈল, নেপালীতলাসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে ১২টার আগেই ব্যালট পেপার শেষ বলে জানানো হয়। দেশের অধিকাংশ আসনের একই চিত্র ছিলো। পুলিশ র‌্যাব পাহারায় ভোটডাকতির মহোৎসব হয়েছে। যা দেশের জন্য এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে।

১৭. ঢাকা-৫ আসনে নির্বাচনী ক্যাম্পে কর্মীদের মারধর করে ল্যাপটপসহ নির্বাচনী মালামাল ছিনিয়ে নেয় সরকার দলীয় লোকজন।

১৮. মাদারীপুর-৩ আসনের প্রার্থীকেই ভোট দিতে দেয়নি। তার ভোটও আগে দেয়া হয়ে গেছে।

১৯. ঢাকা-২ আসনে প্রার্থী মাওলানা জহিরুল ইসলামসহ নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালান হয়।

২০. বি-বাড়িয়া-৩ আসনে সোনাসার প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট মাওলানা হাবিবুর রহমান নৌকা ও ধানের শীষের সমর্থকদের কেন্দ্র দখল নেয়ার সময় পুলিশের এলোপাতারী গুলিতে গুলি বিদ্ধ হয়। একই আসনের বীরপাশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে হাতপাখার এজেন্ট মো: ফয়সাল মিয়াকে মারধর করে নৌকার সমর্থকরা ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় এবং অধিকাংশ আসনে হাতপাখার এজেন্টদের ভুয়া মামলায় সম্পৃক্ত করে দেয়।

২১. ফেনী-৩ আসনে দাগনভূঁইয়া পৌরসভার ওয়াজিরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টকে প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিশের সামনে টেনে-হিঁছড়ে কেন্দ্র থেকে বের রাস্তায় ফেলে ব্যাপক মারধর করে।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ!
আমি অনিয়মের সামান্য চিত্রই মাত্র তুলে ধরেছি। যদি সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মীদেরকে স্বাধীনভাবে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হত, তাহলে হাজার হাজার ভোট ডাকাতির চিত্র তারা ধারণ করতে পারতেন। কিন্তু সরকার তা আগেই বন্ধ করে রেখেছে। ৩০ তারিখের প্রহসনের নির্বাচনে যেহেতু জনগণের মতামতের কোন প্রতিফলনই ঘটেনি। তাই এ নির্বাচনের ফলাফল আমরা প্রত্যাখ্যান করছি এবং অনতিবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে পূণরায় নির্বাচনের জোর দাবী জানাচ্ছি।

প্রহসনের নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করে অবিলম্বে দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ না করা হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জনগণের নিরাপদ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে তীব্র আন্দোলনের সূচনা করবে।

সাংবাদিক ভাইয়েরা,
আমাদের আহবানে সাড়া দিয়ে কষ্ট করে আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ হতে আবারো মোবারকবাদ ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ওয়াসসালাম মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম আমীর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যপাক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, ঢাকা মাহনগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ঢাকা-৭ আসনের প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, ঢাকা-৪ আসনের প্রার্থী আলতাফ হোসাইন, ঢাকা-৮ আসনের মুক্তিযুদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের কেএম আতিকুর রহমান প্রমুখ।

https://www.youtube.com/watch?v=Mm6zvKUwu0c

/এসএস

Comments