শেখ পরিবারের একই ঘরে ৩ এমপি

প্রকাশিত: ১২:৩৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২, ২০১৯

মারুফ মুনির, বিশেষ প্রতিবেদক:

চাচা, বাবা-ছেলে। একই পরিবারের তিন তিনজন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।

নব নির্বাচিত এই তিন গর্বিত সাংসদ হলেন, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, শেখ হেলাল উদ্দিন ও শেখ সারহান নাসের তন্ময়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একমাত্র ভাই ছিলেন শেখ আবু নাসের। তারই ঔরসজাত সন্তান শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল ও শেখ হেলাল উদ্দিন।

সুদর্শণ, তরুণ এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময় হলেন শেখ হেলাল উদ্দিনের ছেলে। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে।

সদ্য অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ সারহান নাসের তন্ময় নৌকা প্রতিকে বিজয়ী হয়েছেন বাগেরহাট-২ আসন থেকে। বাবা শেখ হেলাল উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন বাগেরহাট-১ এবং মেজো চাচা শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল নির্বাচিত হয়েছেন খুলনা-২ আসন থেকে।

শেখ তন্ময় এবং চাচা শেখ জুয়েল এবারই প্রথম এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে তন্ময়ের বাবা শেখ হেলাল উদ্দিন কয়েকবারের সাংসদ। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম একই পরিবারের ৩ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন।

এবারের নির্বাচনের আগে যে কয়জন তরুণ প্রার্থী আলোচিত হয়েছেন তার মধ্যে শেখ সারহান নাসের তন্ময়। সুদর্শন চেহারা আর সুন্দর বাচনভঙ্গিতে ভোটের আগেই মানুষের মন জয় করে চমক সৃষ্টি করেন তন্ময়।

তরুণ তরুণিরা তার গ্লামারে বিশেষভাবে আকর্ষিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব শেখ তন্ময়ের ফেসবুক আইডিতে তরুণ-তরুণিদের উচ্ছাস ছিলো চোখে পড়ার মতো।

বিশেষ করে তরুণিদের উচ্ছাস ছিলো ধারণাতীত। অনেকেই তাকে ভোট দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এমনকি অনেকে ‘মেরি মি’ লিখে তাকে বিয়ে করার প্রস্তাবও করেন ফেসবুক কমেন্টে।

তরুণ-তরুণিদের উচ্ছাসই জানান দেয় শেখ তন্ময় এবার নির্বাচিত হয়ে সংসদে যাবেন।

অন্যদিকে সারাদেশে আওয়ামী লীগের নৌকার জয়জয়কার অবস্থায় চাচা শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলকেও জয় পেতে বেগ পোহাতে হয়নি। প্রথমবারেই জিতেছেন অনেক বড় ব্যবধানে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই তিন বাপ-ছেলে-ভাতিজা-চাচা একই নব নির্বাচিত অন্যান্য সাংসদদের সাথে শপথ পড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নিবেন।

জাতির জনকের উত্তরসূরি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাই এবং ভাতিজা। সো, এই তিন এমপিকে নিয়ে বাগেরহাট ও খুলনাবাসীর প্রত্যশার পারদ নিশ্চয়ই তুঙ্গে।

আগামী পাঁচ বছর তাদের দিকেই তাকিয়ে থাকবে এই দুই জেলার সর্বস্তরের মানুষ। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করতে পারেন সেটাই দেখার অপেক্ষ।

/এসএস

Comments