অবশেষে হাসল গেইলের ব্যাট

প্রকাশিত: ৬:২৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০১৯

স্পোর্ট ডেস্ক: টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো দেখা গেল গেইল ঝড়। অবশ্য বড় টার্গেট তাড়ায় রংপুর রাইডার্সের তিন বিদেশি সুপারস্টারই আজ একসঙ্গে জ্বলে উঠেছিলেন। এবিডি ভিলিয়ার্স, অ্যালেক্স হেলসের সঙ্গে ক্যারিবীয় দানব হয়তো পণ করে নেমেছিলেন আজ বড় ইনিংস খেলবেন। তাই তেঁড়েফুঁড়ে মারার চেয়ে ইনিংস গড়ায় মনোযোগ দেন তিনি। ধীরে ধীরে তোলেন ঝড়। ম্যাচ শেষ করে ফিরতে না পারলেও সেই ঝড়ে ৬ উইকেটের ব্যবধানে উড়ে যায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্স। শেষ ওভারে ছক্কা মেরে রংপুরের এই জয়ে দারুণ অবদান রাইলি রুশোর।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৮২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে রংপুর রাইডার্সকে দারুণ সূচনা এনে দেন অ্যালেক্স হেলস এবং ক্রিস গেইল। ২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা হেলস শেষ প্যন্ত ৮ চার ৩ ছক্কায় ৫৫ রানে ইয়াসির শাহর শিকার হন। ভাঙে ৭৮ রানের ওপেনিং জুটি। এরপর হাত খুলতে শুরু করেন ক্যারিবীয় দানব। সিরিজে প্রথমবারের মতো তার ব্যাটে দেখা যায় দারুণ সব স্ট্রোক। গেইলের সঙ্গী ডি ভিলিয়ার্সও ছিলেন আরও বিধ্বংসী।

বিধ্বংসী প্রোটিয়া তারকার ২৫ বলে ৩ চার ৪ ছক্কায় গড়া ৪১ রানের ইনিংসটি থামে মাহমুদউল্লাহর বলে। রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান ডি ভিলিয়ার্স। রিভিউ নিয়েও সিদ্ধান্ত পাল্টানো সম্ভব হয়নি। ভাঙে ৪৩ রানের জুটি।

প্রত্যাশার সব চাপ এসে পড়ে ক্রিস গেইলের ওপর। ধীরে ধীরে হাত খুলতে থাকেন ইউনিভার্স বস। ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। রংপুর যখন জয় থেকে ১১ রান দূরে, তখন ৪০ বলে ২ চার ৫ ছক্কায় ৫৫ রান করে গেইল শিকার হন জুনায়েদ খানের।

এরপর ম্যাচে শুরু হয় উত্তেজনা। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৬ রানের। ইয়াসির শাহর করা প্রথম বলেই আউট হয়ে যান ১৯ বলে ১৫ করা মিঠুন। ইয়াসিরকে ছক্কা মেরে বাকী কাজটা সূঁচারুভাবে সম্পন্ন করে মাঠ ছাড়েন রাইলি রুশো (৩ বলে ১০)। ৮ ম্যাচে মাত্র ১টি জয় পাওয়া খুলনা টাইটান্সের ভাগ্যে জোটে ৬ উইকেটের পরাজয়।

/আইকে

Comments