বিপিএল সিজন সিক্স

ফিজের বোলিং কারিশমায় হোম ভেন্যুতে দ্বিতীয় তিক্ত হারের স্বাদ ভাইকিংসের

প্রকাশিত: ১১:৩১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯

নয়ন চৌধুরী, ক্রীড়া প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) শনিবার সন্ধ্যার ম্যাচে চিটাগাং ভাইকিংসকে ৭ রানে হারিয়েছে মেহেদি হাসানের রাজশাহী কিংস।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড়ো শুরু পায় রাজশাহী কিংস। দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও জনসন চার্লস ওপেনিংয়ে যোগ করেন ৫০ রান। ব্যাট হাতে দারুণ শুরু করেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি টাইগার ওপেনার সৌম্য সরকার।

সরকার ২০ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে খালেদের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন। সরকার ফিরে গেলেও দ্বিতীয় উইকেটে লরি ইভান্সকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন ক্যারিবিয়ান চার্লস।

এই দুজনের ব্যাটে দলীয় শতক পূরণ হয় রাজশাহীর। দ্বিতীয় উইকেটে তারা যোগ করেছেন ৭০ রান। ইভান্সকে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে উইকেটরক্ষক শেহজাদের ক্যাচ বানিয়ে আউট করেছেন খালেদ আহমেদ।

তাতেই ইভান্স চার্লস জুটি ভাঙে। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকা চার্লস ৪৩ বলে ৫৫ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে আউট হয়েছেন আবু জায়েদ রাহীর বলে। শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিং করেছেন ডাচ অল-রাউন্ডার রায়ান ডেসকাটে আর প্রোটিয়া ক্রিস্টিয়ান জনকার।

অবশ্য ডেসকাটে চার ছক্কায় ১২ বলে ২৭ রান করে রান আউটের ফাঁদে পড়লে এই জুটি ভাঙে। জনকার চিটাগাংয়ের বোলার রবিউলের করা ইনিংসের শেষ বলে মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন ৩৭ রান করে। আর ফজলে রাব্বি ১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন।

ভাইকিংসের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রানের পুঁজি পেয়েছে রাজশাহী কিংস। জবাবে ভাইকিংসের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৯১ রান।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করেন চিটাগাংয়ের আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ। কামরুল ইসলাম রাব্বির করা প্রথম ওভারে তিন ছক্কা ও এক চারে ২২ রান করেছেন এই আফগান তারকা ওপেনার।

তৃতীয় ওভার করতে এসে মারকুটে ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্টকে ফিরিয়েছেন রাজশাহীর পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। চার্লসকে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরেছেন ডেলপোর্ট ৭ রানে।

ডেলপোর্ট ফিরলেও পাওয়ার প্লে’তে দুরন্ত গতিতে রান তুলেছেন শেহজাদ এবং ইয়াসির আলী। পাওয়ার প্লে’তে চিটাগাৃ সংগ্রহ করে ১ উইকেটে ৬১ রান।

দুর্দান্ত খেলতে থাকা শেহজাদ মাত্র ২২ বলে তিনটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৪৯ রান করে ফিরে গিয়েছেন। কিংস অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের বলে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।

এরপর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে রান বাড়াতে থাকেন ইয়াসির। প্রতি ওভারে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন এই তরুণ ক্রিকেটার।

আরাফাত সানির বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ৩৮ বলে সাতটি চার ও দুইটি ছক্কায় ৫৮ রান করেন। মুশফিকের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়েছিলেন ইয়াসির।

ইয়াসির ফেরার পরের ওভারেই (১৫তম) ফিরেছেন ভাইকিংস দলপতি মুশফিকও। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ২২ রান। ১৬তম ওভারে মেহেদি মিরাজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন মোসাদ্দেক।মোসাদ্দেক ফিরে যায় ১ রান করে।

ক্রমশ রানরেট বাড়তে থাকে বন্দরনগরীর দলটির। শেষদিকে সিকান্দার রাজার ১৫ বলে ২৯ রানের ইনিংসটি আফসোস বাড়িয়েছে তাঁদের। রাজশাহীর হয়ে শেষ ওভারে দুইটিসহ মোট তিনটি উইকেট নিয়েছেন কাটার মাষ্টার ফিজ। ক্রমশ রানরেট বেড়ে যাওয়ায় এবং ফিজের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে ৭ রানে হারে বন্দরনগরীর দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
রাজশাহী কিংসঃ ১৯৮/৫ (২০ ওভার)
(চার্লস ৫৫, জোনকার ৩৭, ইভান্স ৩৬; খালেদ ২/৩২)
চিটাগং ভাইকিংসেঃ ১৯১/৮ (২০ ওভার)
(ইয়াসির ৫৮, শেহজাদ ৪৯, মুস্তাফিজ ৩/২৮ )

/এসএস

Comments