ফেনী নদীর তীরে মহাজনহাট কলেজের নবীনবরণ ও বনভোজন

প্রকাশিত: ৮:১৯ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯

আজিজ আজহার: সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, থেমে থেমে বৃষ্টি। আবহাওয়া অনুকূলে ছিলো না। কিন্তু পূর্বের দিনক্ষণ ঠিক থাকা আজকে ফেনী নদীর তীরে বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে অত্যন্ত উচ্ছ্বাসে উর্দ্দীপনা মুখরিত পরিবেশে মিরসরাই উপজেলার ধুম ইউনিয়নে অবস্থিত মহাজনহাট ফজলুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের নবীন বরণ, বনভোজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্য মোড়ানো ফেনী নদীর তীরে অবস্থিত মুহুরী প্রজেক্ট এলাকা মহাজনহাট কলেজের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল সারাটা দিন। শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর মুহুরী রেগুলেটরের চারদিকে বাঁধ দিয়ে ঘেরা কৃত্রিম জলরাশিতে সকল শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একসাথে নৌকা ভ্রমন।

যা ফেনী নদীর বুকে এক টুকরো মহাজনহাট কলেজ। কলেজের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নবীনদের বরণ এবং একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নৃত্য ও গান পরিবেশন ও র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠানে সাজানো ছিল পুরো কর্মসূচি। অনুষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষন ছিলো কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং একটি ইংরেজী গানে নৃত্য পরিবেশন করে সবাইকে মুগ্ধ করেন বানিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নিশাদ।

সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এস রহমান ট্রাস্টের সদস্য মীর আলম মাসুক। সঞ্চালনা করেন কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক আজমল হোসেন। যার সঞ্চালনায় মুখরিত ছিলো পুরো কার্যক্রম। মহাজনহাট ফজলুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. সোহরাব হোসেন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এবং অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নোমান মো. নিজাম উদ্দিন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মো. জাহাঙ্গীর, ওসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল হক, ওসমানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন, এস রহমান ট্রাস্টের সদস্য মোসাদ্দেক হোসেন নয়ন, কলেজ কমিটির সদস্য সিরাজুল ইসলাম মেম্বার।

মহাজনহাট কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তানজিলা সুলতানা প্রভা জানান, সকাল ঘুম থেকে উঠতেই মনটা ভীষন খারাপ হয়ে গেলো। ভেবেই নিয়েছিলাম আজ নবীন বরণ অনুষ্ঠান ও বনভোজন হবে না। বৃষ্টিই বুঝি সব মাটি করে দিলো। যথাসময়ে কলেজে উপস্থিত হলাম এবং সবাই ঠিক করলো যে বৃষ্টির মধ্যে মুহুরী প্রজেক্টে অনুষ্ঠান করবো। যে কথা সে কাজ আমরা ফেনী নদীর তীরে প্রকৃতির সাথে আমাদের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল।

আরেক শিক্ষার্থী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, স্যাররা সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছিলো কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠান হবে। কেননা বাহিরের বৃষ্টি আবহাওয়ার প্রতিকূলে ছিলো। আমাদের সবার জোর অনুরোধে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়ে মহুরী প্রজেক্টে আমাদের কাঙ্খিত বনভোজন সম্পন্ন হয়। সর্বশেষ র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠানে ৩৪ জনকে লটারির মাধ্যমে পুরষ্কিত করা হয়েছে এবং প্রথম পুরষ্কার অর্জন করে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সাইমুনা আক্তার।

/ইআ

Comments