এবারের হজের খুতবায় যা যা বলা হলো নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৭:২৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০১৯ পবিত্র মক্কা ও মদিনা থেকে মিনায় ২০ লাখ হজযাত্রীর রওনা দেওয়ার মধ্য দিয়ে শনিবার শুরু হয় হজের আনুষ্ঠানিকতা। মক্কার অদূরে মিনার আরাফাত ময়দানে জড়ো হয়ে ২০ লাখ মুসল্লির কন্ঠে ধ্বনিত হয় ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’। আরাফাত ময়দানে চলতি বছর হজের খুতবা দিয়েছেন সৌদি আরবের বিশিষ্ট আলেম, শায়খ মুহাম্মদ বিন হাসান আলে আশ-শায়খ। তিনি সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদ এবং গবেষণা-মুফতি বোর্ডের সদস্য। পাশাপাশি খাদেমুল হারামাইন শরিফাইন হাদিস কমপ্লেক্সর পরিচালক। খুতবার শুরুতে তিনি, আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা, রাসূলুল্লাহর সা. ওপর দরুদ পাঠ করেন। উপস্থিত হাজীদের সুস্থতা কামনা করেন। তাদের জন্য দোয়া করেন। খুতবায় রাসূলের সা. একটি হাদিস পড়েন, যার মূলকথা হলো- কোনো মুসলমানের যদি সক্ষমতা অর্জন হয়, তাহলে জীবনে একবার হলেও তাকে অবশ্যই হজ করতে হবে। শায়খ মুহাম্মদ বিন হাসান বলেন, তাওহিদ ও খতমে নবুওয়তের সাক্ষী ইসলামের মৌলিক রোকন। এছাড়াও নামাজ ও জাকাত ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। জাকাতের মাধ্যমে গরিব অসহায়দের ব্যাপক কল্যাণ সাধিত হয়। হজের খুতবায় আরও বলা হয়, আল্লাহ তায়ালার হুকুম কখনও পরিবর্তন হয় না। আল্লাহ তায়ালা মানুষ এবং জীন জাতিকে তার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। এ জন্য তাওহিদ ও আল্লাহর একত্ববাদের বিষয়টি আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। মুসলিম উম্মাহর মুক্তির উপায় উল্লেখ করে শায়খ মুহাম্মদ বিন হাসান এ বছরের হজের খুতবায় বলেন, পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালার রহমতের কথা বারবার বলা হয়েছে। আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরাই মুক্তির একমাত্র উপায়। এ ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। কোরআন ও হাদিসের বিভিন্ন উদ্ধৃতি উল্লেখ করে মুসলিম উম্মাহকে তাকওয়া অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়। কোরআন-সুন্নাহর নির্দেশনা মতো জীবন গঠনের প্রতি তাগিদ দেয়া হয়। পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনকে জীবনের পাথেয় বানাতে বলেন খতিব। এবারের হজের খুতবায় হারামাইন শরিফাইনের মর্যাদা ও সম্মান রক্ষার আহ্বান জানিয়ে খতিব সৌদি রাজপরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজসহ রাজপরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া করেছেন। খুতবায় মুহাম্মদ বিন সালমানের কথাও উল্লেখ করেন। তার দীর্ঘ হায়াত ও কল্যাণের জন্যও দোয়া করা হয়। মুসলমানদের জাকাত আদায়ের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়। আল্লাহর রাস্তায় খরচ করতে বলা হয়। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ না হতেও আহ্বান জানানো হয়। খুতবার শেষ দিকে হজের আহকাম জানিয়ে দেন খতিব। মুসলমানদের ঐক্য ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন। খুতবার মধ্য দিয়ে শেষ হলো হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। খুতবার পরপরই মসজিদে নামিরায় এক আজানে জোহর এবং আসরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সূর্যাস্ত পর্যন্ত হাজিরা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন। সূর্যাস্তের পর তারা মাগরিবের নামাজ না পড়ে রওয়ানা করবেন মুজদালিফার উদ্দেশে। সেখানে একসঙ্গে মাগরিব ও ইশার নামাজ আদায় করে রাত যাপন করবেন। আগামীকাল ফজরের পর হাজিরা রওয়ানা করবেন মিনার উদ্দেশ্যে। সেখানে তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করবেন। শয়তানকে পাথর মারবেন। এছাড়া বায়তুল্লাহয় গিয়ে তওয়াফ করবেন। Comments SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: