কক্সবাজারে গণধর্ষণের ঘটনায় দুই ইউপি সদস্যসহ আটক ৩ নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৮:২৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০১৯ কক্সবাজারের মহেশখালীর কালারমারছড়া চালিয়েতলীতে চাঞ্চল্যকর বেসরকারি চাকুরীজীবী এক তরুণী গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে সিএনজি ড্রাইভার ওসমানকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় মনু মিয়া নামে এক অভিযুক্ত ধর্ষকসহ কালারমারছড়া ইউনিয়নের দুই ইউপি সদস্যকে পুলিশ রাতেই গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত তিনজনকে শনিবার বেলা ১১টায় মহেশখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। অপরদিকে, ধর্ষিত তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি(তদন্ত) সফিকুল আলম জানান। মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর সাংবাদিকদের বলেন, তরুণীকে গণধর্ষণের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ধর্ষক সিএনজি ড্রাইভার ওসমানকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা ধামাচাপা চেষ্টার অভিযোগ উঠে কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য লিয়াকত আলী এবং একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১নং আসনের মহিলা সদস্য খতিজা বেগমের বিরুদ্ধে। উক্ত অভিযোগ পাওয়ায় মামলা দায়েরের আগেই শুক্রবার রাত ১০টার দিকে দুজনকে আটক করা হয়। বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে তারা এজাহার নামীয় আসামি হয়। এছাড়াও রাতে অভিযান চালিয়ে মনু মিয়া নামে এক অভিযুক্ত ধর্ষককেও গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করেছে বলেও তিনি জানান। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) সফিকুল আলম বলেন, পুলিশ অভিযান চালিয়ে নলবিলা মাঝের পাড়ার আবদুর রশিদের পুত্র অভিযুক্ত ধর্ষক মনু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আসামিদের আদালতে প্রেরণ করে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত। অপরদিকে ধর্ষিতা তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান। উল্লেখ্য, মহেশখালীতে গত রবিবার চালিয়াতলী বালুরডেইল পাহাড়ি ঝিরি এলাকায় নিয়ে ওই তরুণীকে রাতভর ধর্ষণ করে অন্তত ১৪ জন! এ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠে স্থানীয় দুই ইউপি সদস্য লিয়াকত আলী ও খতিজা খানমের বিরুদ্ধে। Comments SHARES অপরাধ বিষয়: