কমলনগরে জোড়া তালি দিয়ে নির্মাণ হচ্ছে আশ্রয় কেন্দ্র, ধসে পড়ার আশঙ্কা নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৭:৩৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯ মুহাম্মদ নোমান ছিদ্দীকী: লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার ৪নং মার্টিন ইউনিয়নের মার্টিন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে তৈরী হচ্ছে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত আশ্রয় কেন্দ্র। ২য় মেয়াদে ২০১৭/২০১৮ ইং অার্থিক বৎসরে উপকূল ও ঘূণিঝড় প্রবন এলাকায় বহুমূখী ঘূণিঝড় নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেন।১২০০ জন ধারণ ক্ষমতার ৩য় তলা বিশিষ্ট বর্গ মিটার মোট আয়তন।যার চুক্তি মূল্য ২,০৩,০৭,০৪৫.২২৭ টাকা।ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ঢাকার এ.এস টেকনোলজিস বাংলাদেশ। কর্মদেশ প্রদান ৭ নভেম্বার ২০১৭ ইং এবং কর্মদেশ শেষ ১৩ নভেম্বার ২০১৮ইং। কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে ৩ মাস হল। এখন পর্যন্ত ভবনের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৬০ শতাংশ।এই কাজ করতে অনিয়মের অভিযোগে বেশ কয়েকবার কাজ বন্ধ করেদেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা। চাপের মুখে কিছুদিন কাজ বন্ধ রাখে।পরে তারা নয়া কৌশল ব্যাবহার করে কাজ শুরু করে।সেই নতুন ভবনের ধস শুরু হয়েছে।আর আতঙ্ক দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর মনে।জীবন রক্ষার্থে উপকূলের মানুষ যে আশ্রয়স্থানে আশ্রয় নিবে,সেই আশ্রয় স্থান এখন তাদের মৃত্য কামনা করছেন। চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত দৃ্শ্যমাণ হলো ২য় তলার কাজ। শুধু তাই নয়,কাজে অনিয়মের অভিযোগে বেশ কয়েক বার কাজ বন্ধ করে দেন ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী।তাতে ও ক্ষান্ত হয়নি এই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।জোড়া তালি দিয়ে চলছে আশ্রয় কেন্দ্রের কাজ।অভিযোগ রয়েছে তারা এখন সরকারী বন্ধের সময় কাজ করেন। মার্টিন ইউনিয়নের সহকারী শিক্ষক জামাল উদ্দীন জানান,ইট,বালি ও কাজে অনিয়ম দেখে বেশ কয়েক বার তার কাজ বন্ধ করে।কিন্তু কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে ২য় তলার ছাদে শক্ত বস্তুর চাপে ধসে পড়ার চিত্র দেখা যায়।বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী তিব্র প্রতিবাদে জানান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।বেশ সমালোচন শুরু হয়েছে।এখন তাদের কাউকে এখন কাজ করতে দেখা যাচ্ছে না।এখন সকলের দাবী দ্রুত এই প্রকল্পটির কাজ বন্ধ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটিকে আইনগত ব্যাবস্থা নিয়ে তাদের কঠিন শাস্তি দেওয়া। Comments SHARES অপরাধ বিষয়: