সুমন মালাকার, কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: কোটচাঁদপুর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান এক সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা ৯০’র গণআন্দোলনের গঠিত ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক, রাজ পথের লড়াকু সৈনিক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক কামাল হাওলাদার।

গত ৭ ফ্রেব্রুয়ারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নের আবেদন করেছেন তিনি। রাজনীতিতে পা দেওয়ার পর থেকে তিনি এলাকায় সমাজকর্ম, শিক্ষার প্রসারসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।

কামাল হাওলাদার ৮০’র দশকের মাঝামাঝি সময়ে ১০ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। ৮৬ সালে কোটচাঁদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য পদ লাভ করেন। ৮৭ সালে কোটচাঁদপুর সরকারি কে.এম.এইচ ডিগ্রী কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ৯০ সালে উপজেলা কমিটির সদস্য পদ লাভ করে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে যাত্রা শুরু। ৯৭ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে কোটচাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে কোটচাঁদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের জৈষ্ঠ সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন হন। প্রায় ২ যুগেরও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলীয় সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন।

তার নেতৃত্বে দেশের নন্দিত ছড়াকার ও কবি মিতুল সাইফের অক্লান্ত পরিশ্রমে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সদস্যরা তিন-তিনবার জাতীয় পুরস্কার লাভ করে। সারা জীবন পরিচ্ছন্ন মননের মানুষ হিসাবে দলের তরুণ, ত্যাগী নেতাকর্মীদের সাথে রয়েছে তার নিবিড় সম্পর্ক। সবকিছু মিলিয়ে নিবেদিত ত্যাগী নির্লোভ কর্মী হিসাবে দলীয় মনোনয়ন পেলে অথবা উন্মুক্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তার পাল্লাই ভারী হবে বলে মনে করছেন দলের ত্যাগী নেতাকর্মী সমর্থকসহ সুধীমহল।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কান্ডারী কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক সাংবাদিক কামাল হাওলাদার বলেন- দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক ত্যাগের মূল্য দিতে দলের কর্মী সমর্থক শুভানুধ্যায়ী ও সুধীজনরা কুন্ঠিত হবেন না।

তিনি আরো বলেন- তার জয় হলে, জয় হবে জনতার। তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে কোটচাঁদপুরের সর্বস্তরের মানুষের দোয়া চেয়েছেন।

/আরএ

Comments