যশোরের তিন ইউনিয়নে হাত বাড়ালেই মিলছে ইয়াবা ফেনসিডিল!

প্রকাশিত: ৬:১৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০১৯
ফাইল ছবি

বিল্লাল হোসেন,যশোর প্রতিনিধি: যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি কাশিমপুর ও হৈবতপুর ইউনিয়নে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পুলিশ মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করলেও তারা বেরিয়ে এসে আবারো মাদক ব্যবসায় নেমে পড়ে। কিন্তু মাদকের গডফাদাররা বরাবরই থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, বর্তমানে হৈবতপুর ইউনিয়নের মাদক সিন্ডিকেটের সাথে সখ্যতা গড়ে অন্য এলাকার মাদক কারবারীরা সাতমাইলে বাজারে এসে ব্যবসা জোরদার করেছে। পুলিশ বলছে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের আটকে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, বর্তমানে প্রকাশ্যে ফেনসিডিল ও ইয়াবা বিক্রি করছে চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের বাগডাঙ্গার কুখ্যাত ইয়াবা ব্যবসায়ী রিপন তার ভাই বিল্লাল হোসেন, নজরুল ইসলাম, সবুজ হোসেন, রেজাউল, ,শরিফুল, শাহিনুর, মিজান, পিচ্ছি মাহাবুর ও আজিম, মনিরুল ওরফে মনি, তার ভাই হাকিম, নলডাঙ্গা গ্রামের জসিম, হাফিজুর রহমান ওরফে হাফি, জামির হোসেন, ছোট দৌগাছিয়ার গজো মশিয়ার তার স্ত্রী সুফিয়া খাতুন ও আড়–য়া দৌগাছিয়ার মফিজুর।

হৈবতপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম, সাতমাইল বাজারের আছির উদ্দিন তার দুই ছেলে সোহাগও সাদ্দাম, বড় হৈবতপুর গ্রামের ইউসুফ, ললিতাদাহ গ্রামের ওবাইদুর রহমান বাবু, সাদ্দাম, রসুলপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেন ও নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ইউসুফ। কাশিমপুর ইউনিয়নের নওয়াদাগাঁ গ্রামের শাহাজাহান, আনোয়ারুল, তুহিন ও পারভেজ, দৌলতদিহি গ্রামের মিলন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার অনেকেই জানিয়েছেন, স্থানীয় সিন্ডিকেটের সাথে হাত মিলিয়ে সাতমাইল বাজারে আস্তানা গেড়েছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার এলাকার বাবু, ঝনঝনিয়া গ্রামের রহমান ও ফুলবাড়ি এলাকার মতি। তারা সকলেই মাদকের পাইকার ব্যবসায়ী।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চুড়ামনকাটির রেলস্টেশন রোড, বাগডাঙ্গা বাবু বাজার, পালপাড়া মোড়, সাতমাইল বাজার সংলগ্ন রেললাইন এলাকা, নওয়াদাঁগা শ্যানগর মোড়ে সন্ধ্যার পর থেকে বসছে মাদকের হাট। কেউ কেউ নিজ বাড়িতেই গোপনে ব্যবসা করছে। । তবুও তার অবৈধ ব্যবসা বন্ধ হয়নি। জামিনে বেরিয়ে এসেই ব্যবসা জোরদার করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ী রিপন, গজো মশিয়ার রবিউল ইসলাম, সোহাগ ও ইউসুফ ইতিপূর্বে মাদকদ্রব্যসহ কোতোয়ালি থানা, সাজিয়ালী ফাঁড়ি ও ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়। কিন্তু তারা জামিনে বের হয়ে এসে আবারো মাদকের ব্যবসা জোরদার করে । বর্তমানে তারা স্থানীয়ভাবে ব্যবসায়ে আধিপত্য বিস্তার করতে রীতিমতো গড়ে তুলেছে মাদকের শক্তিশালী সিন্ডিকেট। যে কারণে প্রকাশ্যে ব্যবসা চললেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।

পুলিশ ও র‌্যাবের কাছে স্থানীয়দের দাবি দ্রুত চুড়ামনকাটি, হৈবতপুর ও কাশিমপুর ইউনিয়নের চিহ্নিত এসব মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করা হোক। এই ব্যাপারে সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই সুকুমার কুন্ডু জানিয়েছেন, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ সব সময় সোচ্চার। চুড়ামনকাটি হৈবতপুর ও কাশিমপুর এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের আটকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এরপরেও তারা গোপনে মাদক বিক্রি যাচ্ছে। তাদের আটকে পুলিশ তৎপর আছে।

বিআইজে/

Comments