জবিতে স্থগিত ছাত্রলীগের সংঘর্ষ; মাথা ফাটালো সাংবাদিকের নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:২৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯ জবি প্রতিনিধি: পূর্বের রেষারেষি ও নতুন করে ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দৈনিক সংবাদের জবি প্রতিনিধি রাকিব ইসলাম ও সাধারণ শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ তার দিকে স্থগিত কমিটি বাতিলের দাবীতে আন্দোলনরতরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চাইলে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি তরিকুল ইসলাম এর (দাদা গ্রুপ) ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল এর গ্রুপ একত্রিত হয়ে সকাল থেকে শ’ খানেক নেতা কর্মী ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। এরপর বেলা ১১টার দিকে বর্তমান স্থগিতকৃত কমিটি বিলুপ্ত ও নতুন কমিটি প্রদানের দাবীতে আন্দোলনরত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চাইলে তাদের ধাওয়া দেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কর্মীরা। এসময় বিদ্রোহীদের ৮ জন ও সভাপতি ও সম্পাদক গ্রুপের ২জন আহত হন। এরপর আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাস গেট থেকে সরে গেলে সভপতি ও সাধারন সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নেন। এর এক পর্যায়ে মোবাইলে ছবিও ধারণ কে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বিল্ডিং এর নিচে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হন তারা। এসময় যে যেভাবে পারেন দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যান। এসময় কমপক্ষে ৫ সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হন। এদের সবাইকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাস গেটে মারমুখী অবস্থান নেয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা। এসময় তারা বেশ কয়েকটি ককটেল ও আগ্নেয়াশ্রের এলোপাথাড়ি বিস্ফোরণ ঘটান। এসময় দৈনিক সংবাদের জবি প্রতিনিধি তার দায়িত্ব পালন কালে তার উপর চড়াও হন তারা। এসময় তাকে এলোপাথাড়ি আক্রমন ও মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে পাসবর্তী সুমনা হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জবি ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সাধারন সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল বলেন, ক্যাম্পাসে কি হচ্ছে তা আমরা জানিনা। এটা জানার কথা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কারা কি করছে সেটার দায় আমাদের উপর এখন বর্তায় না। অন্যদিকে সভাপতি তরিকুল ইসলামকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন কেটে দেন। এছাড়া জবি প্রক্টর নূর মোহাম্মদ কে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক কে একাধিক বার ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেন নি। এই মূহুর্তে ক্যাম্পাসের আশেপাশে বিভিন্ন স্থানে উভয় গ্রুপের শতাধিক নেতা কর্মী ভাগ ভাগ হয়ে অবস্থান নিয়েছে। ফলে আশেপাশের এলাকায় থম্থমে অবস্থা বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আশেপাশের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। /সিএইচ আরো পরুন….. আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মাঝে আবারও সংঘর্ষ (ভিডিও) জবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, দর্শকের ভুমিকায় প্রক্টরিয়াল বডি Comments SHARES অপরাধ বিষয়: