সংখ্যালঘু অধিকার প্রতিষ্ঠায় যা রয়েছে ইসলামী আন্দোলনের ইশতেহারে নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৮:১৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০১৮ আহমাদ সাঈদ, বিশেষ প্রতিবেদক: নাগরিকদের জন্য ২১টি সুবিধামূলক অঙ্গিকার রেখে ৩৩ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করেন। প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত ইশতেহারে সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারী অধিকার, দূর্নীতি নির্মূল, ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ ১৬টি অগ্রাধিকার ভিত্তিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ১৫ বছরে দেশি-বিদেশি ঋণ শূন্যের কোটায় আনা, ২০ পার্সেন্ট প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্য কমানো, আয়কর ও আমদানি-রফতানি শুল্ক কমানোসহ ইশতেহারের ৩য় দফায় ২১টি নাগরিক সুবিধার কথা বলা হয়েছে। রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ ও মর্যাদা, নারী অধিকার বাস্তবায়ন ও অমুসলিম নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা। ঘোষিত ইশতেহারের ২৮তম দফায় ৬টি উপধারায় অমুসলিম নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। অমুসলিম বা সংখ্যালঘু অধিকার প্রতিষ্ঠায় যা বলা হয়েছে ইশতেহারে: ১. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অমুসলিম সম্প্রদায়ের সকল প্রকার নাগরিক অধিকার, মর্যাদা, ও নিরাপত্তা সুনিশ্চত করবে। ২. হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সহ সকল অমুসলিম সম্প্রদায়ের জান-মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তা বিধানে কোনোরকম বৈষম্য ও শৈথিল্য করা হবে না। বরং তাদের ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবিক অধিকার পুরোপুরি সুরক্ষা করা হবে। ৩. সকল উপজাতী অধিবাসীদের স্বতন্ত্র জাতিসত্তার স্বীকৃতি দেওয়া হবে এবং তাদের শিক্ষ-সংস্কৃতি ও নিজস্ব ঐতিহ্যকে সুরক্ষা করা হবে। ৪. সকল অনগ্রসর জাতি-গোষ্ঠীকে শিক্ষা-চাকরি ও যাবতীয় নাগরিক সুবিধা প্রদানে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৫. সকল ধর্মের নাগরিকদের মাঝে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা হবে। এবং যে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক উসকানি ও সংঘাত কঠোরভাবে দমন করা হবে। ৬. সকল ধর্মের নাগরিকদের ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ ও নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ প্রদান করা হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে যা রয়েছে ইসলামী আন্দোলনের ইশতেহারেনারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় যা আছে ইসলামী আন্দোলনের ইশতেহারে ইসলামী আন্দোলনের ২২ অঙ্গীকার; দেশি-বিদেশি ঋণ শূন্যের কোটায় আনা হবে /এসএস Comments SHARES নির্বাচন বিষয়: