হ্যাট্রিকের অপেক্ষায় বালিয়াকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদ

প্রকাশিত: ৭:৪৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০১৯

অনিক সিকদার, বালিয়াকান্দি, (রাজবাড়ী)প্রতিনিধি: আধুনিক, সন্ত্রাস, ক্ষুধা ও মাদকমুক্ত উপজেলা গড়ার রুপকার রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবুল কালাম আজাদ এখন হ্যাট্রিকের অপেক্ষায় আছেন। ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় ধাপের পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হলেই এ জেলার মধ্যে তিনিই প্রথম পরপর তিনবারের মতো উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।

বালিয়াকান্দি সরকারি কলেজের সাবেক এজিএস ও সদর ইউনিয়নের ভোটার গোলাম মোর্তবা রিজুসহ স্থানীয় ভোটাররা জানান, আবুল কালাম আজাদ ১৯৮৮ সাল থেকে একটানা ২০০৯ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২১ বছর ৪ বার নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর তিনি তৃতীয় ও চতুর্থ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আ’লীগের থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে উপজেলা পরিষদেরও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। একজন জনপ্রতিনিধি কতটুকু সৎ হলে ভোটাররা তাকে ভোট দিয়ে বারবার নির্বাচিত করে তার প্রমাণ আবুল কালাম আজাদ। তিনি অত্যন্ত মিষ্টভাষী, সৎ ও সফল একজন চেয়ারম্যান। বালিয়াকান্দির দুই লক্ষ মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ও পরিবর্তনের জন্য সবাই নৌকা প্রতীকে ভোট দেবে বলে জানান সাধারণ ভোটাররা। । একজন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক নেতা হিসেবে এলাকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে রয়েছে তার ব্যাপক সুপরিচিতি। সবাই তাকে পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে চেনেন ও জানেন।

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আপনি জয়ী হলে এবার হ্যাট্রিক করবেন এ ব্যাপারে আপনার অনুভূতি কি এমন প্রশ্ন করলে উপজেলা চেয়ারম্যান মো: আবুল কালাম আজাদ জানান, অতীতে যেভাবে মানুষ আমাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে পাশে পেয়েছেন আমি আশাবাদী এবারও তারা আমাকে নির্বাচিত করলে তাদের সুখে-দুঃখে আমাকে তাদের পাশেই সব সময় পাবে। আমি আমার বাকি জীবনটা এলাকার জনগণের সেবা করে যেতে চাই।

এ সময় তিনি আরো বলেন, আমি রাজনীতি করি সাধারণ মানুষের জন্য। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়নের কর্মকান্ড আমি রাজবাড়ীর-২ আসনের চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য মো: জিল্লুল হাকিমের নির্দেশনায় সততার সাথে আমার এলাকায় বাস্তবায়ন ও তদারকি করেছি। তাই আমি চরম ভাবে আশাবাদী জনগনের ভালবাসায় তাদের ভোটেই নির্বাচিত হয়ে আমি তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারব।

আবুল কালাম আজাদ ১৯৫৬ সালে নবাবপুরের চর দক্ষিনবাড়ী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে আব্দুল ওহাব ও মোছা: আছিয়া খাতুনের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে রাজনীতিতে পা রাখেন তিনি। ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সারা দিয়ে তিনি নিজের সংসার ও পরিবার পরিজন রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে।

রাজনৈতিক জীবনে তিনি কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ এরই মধ্যে পেয়েছেন স্বর্ণপদক। শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়নের ফলে তিনি ২০১৪ সালে শিক্ষা বিভাগে রাজবাড়ী জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন। তাছাড়া ২০১৪ সালের আগষ্টে সরকারের পক্ষ থেকে ১৫ দিনের জন্য অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে প্রশিক্ষণে যান।

বিআইজে/

Comments