কত ভোট পড়েছে জানাতে চাচ্ছেন না প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা; ভোটার নেই বললেন শাফিন

প্রকাশিত: ১:৪২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯

একুশ ডেস্ক: সকাল থেকেই বৃষ্টি ভেজা ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ভোটের আমেজও যেন ঠান্ডা কাঁবু হয়ে গেছে। সকালে থেকেই বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ‍ঘুরে দেখা গেছে প্রিজিাইডিং কর্মকর্তারা অলস বসে আছেন। কোনো কেন্দ্রেই নেই আশানুরুপ ভোটার।

পল্লবীর জান্নাত একাডেমি হাইস্কুল। এখানে ভোট কেন্দ্র চারটি। ভোটার সাড়ে ৮ হাজার। সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত একজন ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রিজাইডিং অফিসার আনিসুর রহমান।

বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জান্নাত একাডেমিতে গিয়ে সকালের চিত্রই চোখে পড়ে। সাদা পোশাকের গোয়েন্দা, পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, নির্বাচনি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের এজেন্ট ছাড়া অন্য মেয়র প্রার্থীদের এজেন্টের দেখা মেলেনি।

ভোটার উপস্থিতি কেমন, কতজন ভোট দিয়েছেন জানতে চাইলে প্রিজাইডিং অফিসার আনিসুর রহমান এসব তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

মিরপুরের মনিপুর বিদ্যালয়ের বালিকা শাখায় ভোট কেন্দ্র ২৫টি। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রায় আড়াই হাজার করে ভোটার। এই কেন্দ্রে জটলা দেখা গেলেও তারা ভোটার কিনা জানা গেলো না। এখানে নাজিম নামে একজনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি উত্তরার বাসিন্দা বলে জানান। এখানে কী করছেন জানতে চাইলে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর জন্য কাজ করছি।

ভোটারের উপস্থিতি নেই ভোট কেন্দ্রে মনিপুর বিদ্যালয়ের বালিকা শাখায় ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে কথা হয়। ভোটার উপস্থিতি না থাকলেও ২৫টি কেন্দ্র ঘুরে দেখেন তিনি। পরে বলেন, সবকিছু শৃঙ্খলার মধ্যে আছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন সবাই।’ কেমন ভোট পড়েছে খোঁজ নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, ‘জানি না।

মনিপুর বিদ্যালয়ের বালক শাখায় ভোট কেন্দ্র ৬টি। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রায় ১৯ শ’ করে ভোটার। এখানে কিছু মানুষের উপস্থিতি দেখা গেলেও তাদের কাউকে ভোট দিতে দেখা যায়নি। এখানে কথা হয় প্রিজাইডিং অফিসার পলাশ কুমার হাজরার সঙ্গে। ভোটার উপস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভোটার আসছে, যাচ্ছে।’ তবে কত ভোট পড়েছে সে বিষয়ে তথ্য জানাতে অপারগতা জানান তিনি।

মনিপুর বিদ্যালয়ের একটি ভোটকেন্দ্রআরেক প্রিজাইডিং অফিসার মাহফুজুল হকও তার কেন্দ্রে কত ভোট পড়েছে তা জানাননি। এমনকি প্রথম ভোট কখন পড়েছে তা-ও জানাতে পারেনি তিনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছুটোছুটির মধ্যে আছি।’

মনিপুর বিদ্যালয়ের বালিকা শাখায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর সমর্থক, পুলিশ, নির্বাচনি কর্মকর্তাদের এক সঙ্গে আড্ডা দিতে দেখা গেছে।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাফিন আহমেদ জানালেন, সকাল থেকে ঘুরছি। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘুরেও ভোটারদের দেখা পাইনি। গুলশানের মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যাণ্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোটদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় ভোটারদের অনুপস্থিতির বিষয়ে শাফিন বলেন, গত বেশ কয়েকটা নির্বাচনে এত অনিয়ম হয়েছে যে, ভোটাররা নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ভোটাররা মনে করেন তাদের ভোটের কোনও মূল্য নেই।

তিনি আরো বলেন, ভোট নিয়ে ভোটারদের আগ্রহ নেই। মানুষের মনে সংশয় রয়েছে। এখানে নতুন করে বলার কিছু নেই। নির্বাচনে কি হয় তা সবারই জানা।

/আরএ

Comments