ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন

ভোটারদের অপেক্ষায় সাংবাদিকরা!

প্রকাশিত: ২:২৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯

ডেস্ক: ঢাকার উত্তর সিটির মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং উত্তর ও দক্ষিণের ৩৬টি কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে অনেক বেলা পর্যন্ত ভোটারদের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি।

ভোটারদের অনুপস্থিতির কারণে নির্বাচনের খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকরাও কিছুটা বিপাকে পড়েন। ভোটারদের থেকে নিউজের জন্য প্রয়োজনীয় বক্তব্য ও অন্যান্য তথ্য নেওয়ার অপেক্ষায় থাকতে হয় বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, দৈনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের।

ভোটারদের অপেক্ষা নিয়ে এটিএন বাংলার হুমায়ুন চিশতি ফেসবুকে লিখেছেন, শুধুই অপেক্ষা। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য পোলিং এজেন্ট, প্রিজাইডিং অফিসার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবাই প্রস্তুত…… গুলশান-২ এর মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল কেন্দ্র এখন শুধু ভোটারের অপেক্ষায়। আর গণমাধ্যমকর্মীরা জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী কখন এসে নিজের ভোট দেবেন সেই অপেক্ষায়………..।

ক্যামেরা নিয়ে সাংবাদিকদের অপেক্ষা

যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার সাদাত হোসেন বলেন, আমি সকাল সাড়ে সাতটায় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যাণ্ড কলেজে এসেছি। সকাল থেকে ভোটারের উপস্থিতি আমি দেখিনি। দশটা পর্যন্ত আমি কোনও ভোট দিতে দেখিনি, ১১টার পর একজনকে ভোট দিতে দেখেছি।

তিনি আরো বলেন, সাধারণত টেলিভিশনে লাইভ দেওয়ার জন্য ভোটারদের বক্তব্য নিতে হয়। কিন্তু আমি যখন ১০টার দিকে লাইভ দিতে যাই, আমি সাধারণ ভোটারদের বক্তব্য নিতে পারিনি কারণ কেউ ছিলো না। আমি ভোটার আসার অপেক্ষা করছি।

ভোটার নেই, সাংবাদিকদেরও ব্যস্ততা কমনিউজ টুয়েন্টিফোরের সিনিয়র রিপোর্টার প্লাবন রহমানও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি আটটা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে কোনও ভোটার পাইনি। আমরা অপেক্ষা করছি। ১০টা পর্যন্ত কোনও নারী ভোটার আসেননি। ভোটকেন্দ্রে লাইভ দিতে গিয়ে ভোটারদের পাওয়া যায়নি।

চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের সিনিয়র রিপোর্টার মাকসুদ উননবী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সকাল পৌনে সাতটা থেকে কেন্দ্রে আছি। দুই নম্বর কেন্দ্রে একটি বুথে একজন বলেছে, ১০টা পর্যন্ত একটি মাত্র ভোট পড়েছিল। সাড়ে ১০টার পরে দুই নম্বর কেন্দ্রের তিনটি বুথে জানতে চাইলে ৫০টির বেশি ভোট পড়েছে বলে জানায়। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন।

/আরএ

Comments