বগুড়ায় ৯২৬ টি কেন্দ্রের ৫৬০ টিই ঝুঁকিপূর্ণ নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৮:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮ বাদশা আলম, বগুড়া: আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮। এ নির্বাচনে বগুড়ার সাতটি আসনে ৯২৬ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন করা হবে। তবে ৯২৬ টি কেন্দ্রের মধ্য ৫৬০টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে প্রশাসন। বগুড়ায় সাতটি সংসদীয় আসনের ৯২৬ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে ৫৬০টিকে ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) ও ৩৬৬টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বগুড়া পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলা নিয়ে গঠিত বগুড়া-১ আসন। এর মধ্য সারিয়াকান্দি উপজেলায় ৬৯ কেন্দ্রের মধ্যে ৪৫টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ২৪টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সোনাতলা উপজেলার ৫৩ কেন্দ্রের মধ্যে ৪৭টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ৬টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বগুড়া-২ আসনে শিবগঞ্জ উপজেলায় ১১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭০টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ৪০টিকে সাধারণ, বগুড়া-৩ আসনের আদমদীঘি উপজেলায় ৫৭ কেন্দ্রের মধ্যে ৪১টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ১৬টিকে সাধারণ, দুপচাঁচিয়া উপজেলার ৫১ কেন্দ্রের মধ্যে ৩৬টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ১৫টিকে সাধারণ, বগুড়া-৪ আসনের কাহালু উপজেলায় ৫৭ কেন্দ্রের মধ্যে ২৮টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ২৯টিকে সাধারণ, নন্দীগ্রাম উপজেলার ৪৮ কেন্দ্রের মধ্যে ২৮টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ২০টিকে সাধারণ। বগুড়া-৫ আসনের শেরপুর উপজেলায় ৯২ কেন্দ্রের মধ্যে ৫৮টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ৩৪টিকে সাধারণ, ধুনট উপজেলার ৮৭ কেন্দ্রের মধ্যে ৬৫টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ২২টিকে সাধারণ, বগুড়া-৬ আসনের ১৪১ কেন্দ্রের মধ্যে ৫৯টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ৮২টিকে সাধারণ এবং বগুড়া-৭ আসনের গাবতলী উপজেলার ৮৮ কেন্দ্রের মধ্যে ৪৭টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ৪১টিকে সাধারণ, শাজাহানপুর উপজেলার ৭৩ কেন্দ্রের মধ্যে ৩৬টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ৩৭টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সূত্রটি জানায়, নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা সুষ্ঠু রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রায় দুই হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন সশস্ত্র পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য থাকবেন। ৯২৬ কেন্দ্রে মোট ১১ হাজার ১১২ জন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতি ২-৩টি কেন্দ্রে একটি করে মোট ৮০টি মোবাইল টিম, সদরে দু’টি ও প্রতি উপজেলায় একটি করে ১৩টি স্টাইকিং টিম থাকবে। এ টিমের প্রতিটিতে ১০ জন করে পুলিশ সদস্য থাকবেন। পুলিশ লাইন্স ও থানায় স্টান্ডবাই থাকবেন ৪০ জন পুলিশ সদস্য। টিমে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকছেন। এছাড়া, ইতোমধ্যে সাতটি আসনে ১৬ প্লাটুন বিজিবি সদস্য ও ৭০০ সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সদরে ১৫০ জন ও ১১ উপজেলায় ৫০ জন করে সেনা সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন বলেও জানা গেছে। /সিএইচ Comments SHARES নির্বাচন বিষয়: