বাবুগঞ্জে নৌকা ও হাতুড়ীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা

প্রকাশিত: ৬:১৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০১৯

রুবেল সরদার, বাবুগঞ্জ: বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীরা হাট-বাজার থেকে শুরু করে গণসংযোগ শুরু করছে। মনোনয়ন দাখিলের পর পরই সাধারণ জনগণের সাথে কুশল বিনিময় করে ইতিমধ্যে তাদের প্রার্থীতা জানান দিয়ে সাড়া ফেলেছেন। এরইমধ্যে প্রতীক পেয়েই গণসংযোগও শুরু করে দিয়েছেন প্রার্থীরা।

আসন্ন এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন মনোনয়ন দাখিল করলেও ১ জনের মনোনয়ন বাতিল ও অপর একজন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১ জন মনোনয়ন দাখিল করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচিত হয়েছেন।

বাবুগঞ্জ থানা ও এয়ারপোর্ট থানার আংশিক এলাকা নিয়ে এই উপজেলা পরিষদ গঠিত হয়েছে। এখানে ৬ ইউনিয়নের ভোটাররা ২৪ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তাদের মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী ইমদাদুল হক দুলাল প্রথবারের মতো দলীয় মার্কা নৌকা, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত আশির দশকের অন্যতম ছাত্রনেতা মোজাম্মেল হক ফিরোজ দলীয় প্রতিক হাতুড়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাক আহমেদ রিপন আনারাস প্রতিক ও বিকল্পধারা বাংলাদেশ মনোনীত এনামুল হক রাজু কুলা মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দীতা করবেন।

তবে এলাকাবাসীর মধ্যে ইতিমধ্যে গুঞ্জন উঠেছে- আওয়ামী লীগ মনোনীত কাজী ইমমাদুল হক দুলাল ও ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত মোজাম্মেল হক ফিরোজের সাথে মাঠপর্যায়ে নৌকা ও হাতুরীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ছাড়া স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মোস্তাক আহমেদ রিপন আনারস প্রতীক নিয়ে ও এনামুল হক রাজু কুলা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে লড়বেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে শক্ত অবস্থানে রয়েছে- টিউবয়েল মার্কা নিয়ে ইকবাল আহমেদ আজাদ ও মাইক মার্কা নিয়ে রহমতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মল্লিকের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে আওয়ামীলীগ এ পদ উন্নুক্ত থাকায় আওয়ামী লীগের ৪ প্রার্থী মাঠে থাকায় সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ী মার্কা নিয়ে মুহাঃ জামাল উদ্দিন।

উড়োজাহাজ প্রতিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠিনিক সম্পাদক শাহারিয়ার আহম্মেদ শিল্পীর একটা আলাদা ইমেজ রয়েছে। এছাড়াও মাঠে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আকন। এলাকাবাসী জানান ভাইস চেয়ারম্যান পদে শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি কে হাসে বলা মুশকিল।

/আরএ

Comments