পশ্চিমাদের হামলায় রাসায়নিক অস্ত্রের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি: সিরিয়া

প্রকাশিত: ৯:০২ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের হামলায় সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করেছেন দেশটির সাবেক এক কর্মকর্তা।

শুক্রবার রাতে সিরিয়ার তিনটি সরকারি স্থাপনায় একযোগে হামলা চালায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট।

তবে ওই সাবেক কর্মকর্তার দাবি, সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র মজুতের জন্য প্রায় ৫০টি গুদাম রয়েছে। এদিকে উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট-ন্যাটোর প্রধান বলেছেন, ন্যাটোভুক্ত সব দেশ এই হামলাকে সমর্থন করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহরে রাসায়নিক হামলার অভিযোগ তুলে শুক্রবার দিবাগত রাতে সিরিয়ার তিনটি স্থাপনা লক্ষ্য করে যৌথ হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। রাজধানী দামেস্ক ও হোমস শহরের ওই তিনটি স্থাপনায় আসাদ সরকার রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন করতো বলে অভিযোগ করে আসছে এসব দেশ। এসব স্থাপনা লক্ষ্য করে এরই মধ্যে শতাধিক মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে।

দামেস্কের কাছে একটি রাসায়নিক গবেষণাগার ধ্বংস হওয়ার কথা স্বীকার করেছে সিরিয়া। রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হামলা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সিরিয়ার মিত্র রাশিয়া বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চালানো এই হামলার জবাব দেওয়া হবে।

সিরিয়ার সাবেক কর্মকর্তা আদুলসালাম আব্দুলরাজাক রাসায়নিক কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্য এই কর্মকর্তা বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে মার্কিন সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে (এপি) সাক্ষাৎকার দেন। তিনি বলেছেন, ২০১৩ সালে রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ হওয়ার আগে সিরিয়ায় আনুমানিক ৫০টি গুদাম ছিল। এসব গুদামে রাসায়নিক অস্ত্র মজুত রাখা হতো। তিনি বিশ্বাস করেন, এসব গুদাম এখনও সেখানেই আছে নয়তো সামান্য সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

আব্দুলরাজাক অভিযোগ করেন, ২০১৩ সালে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে হওয়া সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির আওতায় সন্দেহজনক রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচি আশিংক বন্ধ হয়েছিল।

কারণ তখন আসাদ সরকার রাসায়নিক অস্ত্রের বিদ্যমান মজুত ও সক্ষমতার বিষয়টি তদন্ত করার অনুমতি দেয়নি।

এদিকে উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট-ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টোলেনবার্গ বলেছেন, সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের হামলায় ন্যাটোভুক্ত সব দেশ সমর্থন দিয়েছে। তিনি বলেন, সিরিয়ার সরকারের রাসায়নিক অস্ত্র সক্ষমতা কমানো ও দৌমার মতো বিভিন্ন এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আবারও কোনও রাসায়নিক হামলা বন্ধ করার লক্ষ্যে এসব হামলা চালানো হচ্ছে।

ন্যাটো প্রধান রাশিয়াসহ সিরিয়ার সব মিত্রদের দেশটিতে দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসনে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

Comments