মিয়ানমারের মানচিত্রে সেন্টমার্টিন; রাষ্ট্রদূতকে তলব

প্রকাশিত: ৮:১০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০১৮

একুশ ডেস্ক: সম্প্রতি মিয়ানমার সরকারের জনসংখ্যা বিষয়ক বিভাগের ওয়েবসাইট প্রকাশিত তাদের দেশের যে মানচিত্রে সেইন্ট মার্টিন দ্বীপপুঞ্জকে মিয়ানমারের ভূখণ্ড হিসেবে দেখানো হয়েছে। আর এই ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

শনিবার দুপুরে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত লুইন উকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়।

রাষ্ট্রদূত উপস্থিত হলে তাকে প্রতিবাদপত্র ধরিয়ে দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার এডমিরাল খুরশিদ আলম।

দুপুর ১টায় লুইন ইন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করেন এবং প্রায় এক ঘণ্টা পর বেরিয়ে আসেন।

এ সময় সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় কিছু বলতে চাননি রাষ্ট্রদূত লুইন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি।

তবে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছিলো এবং তাকে প্রতিবাদপত্র দেওয়া হয়েছে।

মিয়ানমারের সরকারি দপ্তরের প্রকাশিত মানচিত্রে মিয়ানমারের মূল ভূখণ্ড এবং বঙ্গোসাগরে বাংলাদেশের অন্তর্গত সেইন্ট মার্টিন দ্বীপকে একই রঙে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের ভূভাগ চিহ্নিত করা হয় অন্য রঙে।

বাংলাদেশের ভূখণ্ড মিয়ানমারের মানচিত্রে এভাবে প্রদর্শনের ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয় রাষ্ট্রদূতের কাছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা যখন প্রশ্ন করেছি, তখন তিনি বলেছেন, ভুলক্রমে এটা হতে পারে।

কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে মিয়ানমারের এই তৎপরতাকে খাটো করে দেখছে না বাংলাদেশ।

তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটকে পাশ কাটাতে এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ বলে আমরা মনে করছি, তাই তাকে (রাষ্ট্রদূত) বলা হয়েছে, কীভাবে এমনটা হল তা খুঁজে বের করে জানাতে।

কক্সবাজার সংলগ্ন প্রবাল দ্বীপ সেইন্ট মার্টিন সৃষ্টি থেকে বর্তমান বাংদেশের ভূখণ্ডের অন্তর্গত। ব্রিটিশ শাসনাধীনে ১৯৩৭ সালে যখন বার্মা ও ভারত ভাগ হয়, তখন সেইন্ট মার্টিন ভারতে পড়েছিলো।

১৯৪৭ সালে ভারতে ভাগের সময় সেইন্ট মার্টিন পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এটি বাংলাদেশে অন্তর্গত। ১৯৭৪ সালে সেইন্ট মার্টিন দ্বীপপুঞ্জকে বাংলাদেশের ধরে নিয়েই মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা চুক্তি হয়।

/আরএ

Comments