চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে ফারইস্ট কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত: ১২:০১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০২৪

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লি. এর কোম্পানির স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডের জন্য চাকরিচ্যুত সাবেক এভিপি (উন্নয়ন) নূরুল্লাহ সিদ্দিকী ও কতিপয় পরিবেশ বিনষ্টকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কোম্পানির কার্যক্রমকে ঘিরে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম ও অন্যান্য পরিচালকদের সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে অপপ্রচার চালানোর প্রতিবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

১২ অক্টোবর (শনিবার) ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি তাদের ফেসবুক পেইজ থেকে এই প্রতিবাদ জানিয়েছে।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লি. কর্তৃপক্ষ ওই প্রতিবাদ লিপিতে জানায় যে, চাকরিচ্যুত সাবেক এভিপি (উন্নয়ন) নূরুল্লাহ সিদ্দিকী ও কতিপয় পরিবেশ বিনষ্টকারী কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থাপিত তথ্য আদৌ সত্য নয়। এসব তথ্য মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর। কোম্পানির পক্ষ থেকে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের প্রচার করা উদ্ভট ও কল্পনাপ্রসূত বক্তব্য বিশ্বাস না করার জন্য ফারইস্ট ইসলামী লাইফের সম্মানিত গ্রাহক ও সর্বসাধারণকে অনুরোধ করা হয়।

ওই চক্রটি কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চালানো অপপ্রচারে যেসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তার ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে কোম্পানির পক্ষ থেকে। তাতে বলা হয়—কোম্পানির এসভিপি রোকেয়া বেগম সম্পর্কে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা আদৌ সত্য নয়। তাঁকে কোম্পানির সকল নিয়মকানুন ও বিধিবিধান মেনে পুনর্বহাল করা হয়েছে। ডেস্ক অফিসার মামুনুর রশিদ ও মাসুম বিল্লাহর বদলির বিষয়টি উল্লিখিত বিষয়ের  সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। বদলির বিষয়টি কোম্পানির প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী এবং স্বার্থ সংশ্লিষ্ট।

এছাড়া কোম্পানির অনুদানকৃত ১০ লাখ টাকা কোম্পানীর চেয়ারম্যানের নিজ এলাকার বন্যার্তদের মাঝে বিতরণের বিষয়টিও সত্য নয়। কোম্পানির অনুদানকৃত ঐ অর্থ ফেনী জেলার বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বন্যার্তদের মাঝে বিতরণকৃত ত্রাণ কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং পরিচালক মো. হেলাল মিয়ার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দেওয়া হয়েছে। এখানে কোম্পানির তহবিল থেকে কোনো অর্থ খরচ করা হয়নি।

গ্রাহকদের মাঝে এনালগ পদ্ধতিতে চেক প্রদান নিয়ে যে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে সেটিও ছিল ওই চক্রটির বিকৃত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। সরকারি ও বেসরকারি সকল ব্যাংকে অর্থনৈতিক মন্দাভাব ও অনলাইন জটিলতা বিদ্যমান থাকায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে কোম্পানির কিছু সংখ্যক গ্রাহককে তাদের প্রাপ্য টাকা অনলাইনে বিতরণে ব্যর্থ হওয়ায় চেকের মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে। এখানে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি বলে ব্যাখ্যায় বলা হয়।

শনিবার অফিস খোলা রাখার বিষয়ে তুলে ধরা তথ্যটিও কাল্পনিক ছিল বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়। কোম্পানির মতে এ বিষয়ে অফিসিয়ালি কোনো নির্দেশনা নেই। তবে কোম্পানির কিছু কিছু বিভাগ তাদের জমে থাকা কাজ দ্রুত নিষ্পত্তির এবং বীমা দাবি প্রদান সংক্রান্ত জরুরি কাজ স্ব-স্ব উদ্যোগে সপ্তাহের ওইদিন সম্পাদন করে থাকেন।

কোম্পানির কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহিনকে নিয়ে ওই চক্রটির অপপ্রচারের বিষয়ে জানানো হয় যে, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে এবং দীর্ঘদিন মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ডিভিশনে কাজের অভিজ্ঞতা ও সফলতা বিবেচনায় কর্তৃপক্ষ নীতিমালা অনুসরণ করে তাঁকে দায়িত্ব প্রদান করেছে। এখানে কোনো পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হয়নি।

অনিয়মের কারণে চাকরিচ্যুত সাবেক এভিপি (উন্নয়ন) মো. নূরুল্লাহ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কোম্পানির চেয়ারম্যান মামলা করেছেন মর্মে যে অপপ্রচার চালানো হয়েছে সেটি ছিল মিথ্যাচার ও কোম্পানিকে হেয় প্রতিপন্ন করার অংশ। কোম্পানির চেয়ারম্যান কখনো কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেননি বলে জানানো হয়।

কোম্পানির ওই প্রতিবাদ লিপিতে জানানো হয় যে, প্রকৃতপক্ষে মো. নূরুল্লাহ সিদ্দিকী একজন সন্ত্রাসী। সে ও তার সহযোগীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের নাম ভাঙিয়ে জোরপূর্বক কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে ঢুকে কোম্পানির ডেস্ক কর্মকর্তা মো. মাহবুব ইসলামকে গুরুতর আঘাত করে রক্তাক্ত করে। এ ঘটনার পর সে ও তার সহযোগীরা কোম্পানির সুনাম নষ্ট করতে অপপ্রচারে লিপ্ত থাকায় কোম্পানির পক্ষ থেকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় জিডি করা হয়েছে।

(একুশ নিউজ/১৪অক্টোবর/পিএস)

Comments