গাজীপুরের এসপি হারুন আর কেএমপি কমিশনার হুমায়ুনকে প্রত্যাহার করুন:বিএনপি

প্রকাশিত: ৭:১৫ অপরাহ্ণ, মে ৩, ২০১৮

আসন্ন দুই সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির ও গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে প্রত্যাহারে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবারও দাবি জানালো বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (৩ মে) বিকেলে আগারগাঁওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বিএনপির ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.আব্দুল মঈন খান।

বৈঠকে মঈন খান ছাড়াও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকতুল্লাহ বুলু ও সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন উপস্থিত ছিলেন।

প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের ধারক-বাহক যদি পুলিশ হয়ে যায় তাহলে তো সমস্যা। খুলনায় আমাদের স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্য (গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খান) পাঠানো হয়েছে। তাঁরা যে হোটেলে উঠেছেন তার চারপাশে পুলিশ ঘিরে রেখেছে। এতে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। গাজীপুরে আমাদের যে সিনিয়র নেতারা গেছেন তাঁদের পুলিশ বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। বলছে, আপনাদের এখানে কী। এজন্য তাঁরা কেএমপি কমিশনার ও গাজীপুরের এসপির প্রত্যাহার চেয়েছেন।

এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো আশ্বাস পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে ড. মঈন খান বলেন, এটা তো আশ্বাসের বিষয় না। নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখা। তবে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কথাবার্তা হয়েছে। তারা আমাদের কথা শুনেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপির প্রতিনিধিদল। মঈন খান ছাড়া প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। বৈঠক শেষে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বিএনপির নেতারা বেরিয়ে আসেন।

Comments