খুলনার সিটি নির্বাচনের অনিয়ম বিষয়ে ইসির তদন্ত শুরু

প্রকাশিত: ১২:৪৮ পূর্বাহ্ণ, মে ২৪, ২০১৮

শেখ নাসির উদ্দিন,খুলনা প্রতিনিধিঃখুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের তিনটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে তদন্ত টিম।

মঙ্গলবার (২২মে) সকাল থেকে তিন কেন্দ্রের ভোটগ্রহণের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দফায়-দফায় কথা বলেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের তিন সদস্যের কমিটি। বয়রাস্থ রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসারের সভাকক্ষে কথা বলেন তারা। ১৫ মে’র কেসিসি নির্বাচনে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দু’টি কেন্দ্রে কী হয়েছিল সেটিই তদন্ত কমিটির সদস্যদের জানিয়েছেন বিভিন্ন প্রার্থীর পোলিং এজেন্টরা।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব খন্দকার মিজানুর রহমান জানান, তদন্ত শেষে তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। মঙ্গল ও বুধবার তাদের খুলনায় অবস্থানের কথা। তদন্ত কমিটির অন্য দু’ সদস্য উপ-সচিব মো. ফরহাদ হোসেন এবং সিনিয়র সহকারী সচিব মো. শাহ আলমও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বলেন, ৩০ মে বন্ধ হওয়া তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী ইতোমধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে পুন:নির্বাচনের বিষয়টি জনসাধারণকে জানানো হয়েছে।

পুনরায় ভোটগ্রহণের জন্য ওই তিনটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এমনটিক প্রার্থীদের এজেন্টও পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ নতুন সেটআপ দিয়ে পুন:ভোটগ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য কি পরিমাণ থাকবে সেটি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গ কথা বলে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ৩০ মের নির্বাচনে সংরক্ষিত দু’টি ওয়ার্ডের চারজন এবং সাধারণ একটি ওয়ার্ডের দু’জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতার সুযোগ পাবেন বলে রিটার্নিং অফিসার জানান।
১৫ মে অনুষ্ঠিত কেসিসি নির্বাচন চলাকালে কেসিসির সাধারণ ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইকবাল নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় (একাডেমিক ভবন-২) এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের লবণচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় কেন্দ্রে অনিয়মের কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ তিনটি কেন্দ্র দু’টি সংরক্ষিত ও দু’টি সাধারণ ওয়ার্ডের আওতায় হলেও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ভোটের ব্যবধান বেশি থাকায় বর্তমান কাউন্সিলর শমশের আলী মিন্টুকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

কিন্তু সাধারণ ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট নিয়ে প্রতিদ্বিতাকারী সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন মুক্তার ছেলে আরিফ হোসেন ও টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বিতাকারী বর্তমান কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল এগিয়ে থাকেন। এছাড়া সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মাজেদা খাতুন (আনারস) ও রুমা খাতুন (চশমা) এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডে লুৎফুন নেছা (চশমা) ও মিসেস রোকেয়া ফারুক (হেলিকপ্টার) এগিয়ে থাকেন।

Comments