ভারতে শিশু ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ডের আইন পাশ

প্রকাশিত: ৮:৪৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২১, ২০১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শিশু ধর্ষণকারীদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে যুগান্তকারী এক অর্ডিন্যান্স পাশ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। জানা গেছে, ১২ বছর বয়সের নীচের কাউকে ধর্ষণ করলেই অভিযুক্ত এ বিধির আওতায় পড়বে। আর সে শাস্তি হবে ‘মৃত্যুদণ্ড’।

ভারতে সম্প্রতি শিশু ধর্ষণের বেশ কয়েকটি ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীরে ৮ বছরের এক কন্যা-শিশুকে সাতদিন ধরে অপহরণ করে গণধর্ষণ ও তারপরে হত্যা করার ঘটনায় সারা দেশে ব্যাপক প্রতিবাদ হচ্ছে।

জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের শাস্তির ক্ষেত্রে আইনের বদল আনার জন্য গত সপ্তাহে প্রস্তাব দিয়েছিলেন দেশটির কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধী। শনিবার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে শিশু ধর্ষণের চূড়ান্ত শাস্তি কী হতে পারে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। শেষমেশ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে মৃত্যুদণ্ডতেই সিলমোহর দেয়া হয়।

এমন এক দিনে শিশু-ধর্ষণের জন্য ফাঁসির সাজা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো মন্ত্রীসভায়, যেদিন মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে ৮ মাস বয়সী এক সদ্যোজাত কন্যাশিশুকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

ইন্দোরের পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে শহরের অভিজাত এলাকার ফুটপাথে যখন ওই সদ্যোজাত কন্যা-শিশুটি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়েছিল, তখনই তাকে অপহরণ করে এক যুবক। তাকে একটি হোটেলের বেসমেন্টে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। বেলার দিকে ওই কন্যা-শিশুর দেহ খুঁজে পাওয়া যায়। এই ঘটনায় ওই শিশুটিরই এক দূরসম্পর্কের আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বর্তমানে চালু ‘শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইন, ২০১২’ (পকসো) অনুযায়ী, ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও কমপক্ষে সাত বছরের সাজার বিধান রয়েছে। আর যদি ধর্ষণের পরে নির্যাতিতা মারা যান বা চলচ্ছক্তিহীন হয়ে পড়েন, সেই সব ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য বছর কয়েক আগে আইন বদল হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অর্ডিন্যান্স জারি করে ‘পকসো আইন’ বা শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতন রোধী আইন সংশোধন করা হবে। একই সঙ্গে বদল ঘটানো হবে ভারতীয় দণ্ডবিধিতেও।

/এসআর

Comments