হাসপাতালের পাশে কঙ্কালের সারি

প্রকাশিত: ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৩, ২০১৯

ডেস্ক: ভারতের বিহার রাজ্যের মুজাফফারপুর শহরের সরকারি শ্রীকৃষ্ণ মেডিকেল কলেজের পাশে শতাধিক মানুষের কঙ্কাল পাওয়া গেছে। কীভাবে হাসপাতালের পাশে এত পরিমাণ কঙ্কাল এসেছে তা নিয়ে এরই মধ্যে তদন্তও শুরু হয়েছে।

হাসপাতালের ডাক্তার বিপিন কুমার স্ক্রলডটইনকে জানান, ‘কঙ্কাল পাওয়া গেছে। কলেজের অধ্যক্ষ এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন।’ প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, প্রাপ্ত কঙ্কালগুলোর মধ্যে তিনটি ছিল পোড়ানো, বাকিগুলো ছিল বস্তায় ভর্তি। হাসপাতালের এক কেয়ারটেকার জনক পাসওয়ান অবশ্য বলেন, ময়নাতদন্তের পর কঙ্কালগুলো হাসপাতালের পাশের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।

স্থানীয় পুলিশ সুপার এসকে শাহী জানান, ময়নাতদন্তের পর সত্যিই যদি হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ কঙ্কালগুলো এভাবে ফেলে দেয়, তবে এটা অমানবিক। আমরা তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

এদিকে বিহারে অ্যাকিউট এনসেফালাইটিস সিনড্রোম মহামারীর আকার ধারণ করেছে। গতকাল শনিবার পর্যন্ত রাজ্যে এই রোগে অন্তত ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের অধিকাংশই শিশু। মুজাফফারপুরে শ্রীকৃষ্ণ মেডিকেল হাসপাতালেই অধিকাংশ রোগির মৃত্যু হয়েছে। শিশুমৃত্যুর মাঝে হাসপাতালের পাশে কঙ্কাল পাওয়ার ঘটনা গোটা রাজ্যে সমালোচনার ও রোগীদের স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

নিয়ম অনুসারে হাসপাতাল কোনো মরদেহ পাওয়ার পর অতিদ্রুত নিকটবর্তী থানায় খবর দিতে হয়। রিপোর্ট করার পর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ময়নাতদন্তের জন্য ৭২ ঘণ্টা রাখার নিয়ম একটি মরদেহ। এরপর আরও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওই মরদেহ নিতে বা চিহ্নিত করতে কেউ না এলে হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ মরদেহটি মাটিচাপা অথবা পুড়িয়ে ফেলবে।

বিহারের জনগণের মনে প্রশ্ন, হাসপাতালের বাইরে প্রাপ্ত কঙ্কালগুলো কি রাজ্যে অ্যাকিউট এনসেফালাইটিস সিনড্রোমে মারা যাওয়া রোগীদের? কারণ এরই মধ্যে রাজ্যের বিরোধী দলগুলো দাবি করেছে, রাজ্য সরকার এই রোগে সত্যিকারের মৃতের সংখ্যা আড়াল করছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার মহামারী পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেও অভিযোগ আছে।

Comments