বাঙালি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিবে পাকিস্তান: ইমরান খান

প্রকাশিত: ৭:২৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নাগরিকত্ব পাচ্ছে পাকিস্তানে অবস্থানরত বাঙালি শরণার্থীরা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, তার সরকার  বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানে থেকে আসা শরণার্থীদের পাকিস্তানের নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বিবেচনা করছে।

রোববার করাচিতে এক অনুষ্ঠানে ইমরান বলেন, বাংলাদেশ থেকে আসা আড়াই লক্ষ মানুষ এখন করাচিতে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছেন।

৪০ বছর ধরে এরা এই শহরে আছেন। তাদের সন্তানরাও এই শহরেই বড় হচ্ছে। কিন্তু তাদের কোনো পাসপোর্টে কিংবা কোনো পরিচয়পত্র নেই। যার কারণে তাদের চাকরি হয় না। কিংবা চাকরি হলেও বেতন হয় অর্ধেক। এই বৈষম্য দূর করতে তাদেরকে নাগরিকত্ব দেয়া হবে।

করাচি শহরের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করে ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক মি. খান বলেন, এসব শরণার্থীর জন্য শিক্ষা এবং চাকরির বাজার উন্মুক্ত করতে হবে।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক শরণার্থী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে আসেন। পাশাপাশি বার্মা থেকেও প্রচুর শরণার্থী আসেন। মহানগরীর ১০৩টি মহল্লায় বাঙালী এবং বর্মী শরণার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে বিবিসি সংবাদদাতা জানাচ্ছেন।

এছাড়াও জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, পাকিস্তানে এখন ১৪ লক্ষ আফগান শরণার্থী বসবাস করছেন। তাদের ৭৪%ই দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রজন্মের আফগান।

কিন্তু নাগরিকত্ব কিংবা পরিচয়পত্রের অভাবে তাদের বেশিরভাগই দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন এবং নানা ধরনের সামাজিক নিপীড়নের শিকার হন।

পাকিস্তান নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, সে দেশের ভূখণ্ডে ১৯৫১ সালের পর জন্মগ্রহণকারী যে কেউ পাকিস্তানী নাগরিকত্বের অধিকারী।

কিন্তু পাকিস্তানে বর্তমানে যারা সরকারি শরণার্থী কার্ড ব্যবহার করছেন তারা নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন না।

যেসব উর্দুভাষী শরণার্থী দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে আটকা পড়ে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী অবশ্য তাদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি।

/এমএম

Comments