পরকীয়ায় সংসার ভাঙলো ব্রিটেনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনসনের

প্রকাশিত: ১২:১৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পরকীয়ায় জেরে স্ত্রী মারিনা হুইলারের সাথে ২৫ বছরের সংসার ভাঙলো ব্রিটেনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের। বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্ত্রী মারিনা হুইলার বরিস জনসনকে ডিভোর্স দিয়ে আলাদা হয়ে যান।

মারিনা একজন মানবাধিকার সংক্রান্ত আইনজীবী। তার বাবা চার্লস ছিলেন ব্রিটিশ চ্যানেলের সাংবাদিক। মারিনা-বরিসের চার সন্তান। বেশ কিছু দিন আলাদা থাকার পরে এই দম্পতি যৌথভাবে জানান, কয়েক মাস আগে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। তবে এই ঘটনার কয়েক দিন আগে ব্রিটিশ একটি পত্রিকায় বরিসের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে খবর দিয়েছিলো।

তবে মারিনা হুইলারের সাথে সম্পর্ক চলাকালিন সময়েও বেশ কয়েকবার বরিসের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা সামনে এসেছে। এর মধ্যে ২০০৪ সালে লেখিকা পেট্রোনেলা ওয়্যাটের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে নিজেই স্বীকার করেন বরিস। চার বছরের ওই সম্পর্কে ওয়্যাট অন্তঃসত্ত্বা হন এবং পরে গর্ভপাত করাতে হয়।

বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে সংসার ভাঙল বরিস জনসনের

স্ত্রী মারিনার সঙ্গে বরিস জনসন

এদিকে ২০০৯-এ আবার হেলেন ম্যাকিনটায়ার নামে এক শিল্প-পরামর্শদাতার সঙ্গে নাম জড়ায়। তার সন্তানের বাবাও হন বরিস। এ সবের পরে টানাপড়েন চললেও শেষ পর্যন্ত বরিসকে মেনে নিয়েছিলেন মারিনা। কিন্তু এবার সব সম্পর্কের পাঠ চুকে দিলেন মারিনা নিজেই।

ব্রিটিশ পত্রিকার দাবি অনুযায়ী, বরিস ফের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এজন্যই এবার আর তাকে মেনে নিচ্ছেন না মারিনা। তাঁর মেয়ে লারাকে উদ্ধৃত করে পত্রিকাটি জানায়, ’মা আর বাবার সঙ্গে থাকবেন না’।

এদিকে বিচ্ছেদে বরিসের জনপ্রিয়তা না কমলেও তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন ধাক্কা খেতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ব্রেক্সিট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে-র সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে জুলাইয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ ছাড়েন বরিস। তার পর সরকারের সমালোচনায় নানা পত্রপত্রিকায় লিখে চলেছেন তিনি। যা দেখে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নিজেকে ব্রিটেনের বিকল্প প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরতে চান তিনি।

/এমএম

Comments