গালিব’র মুক্তগদ্য ’শেষ বিকেলের কান্না’ নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৬:১২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০১৮ নুরুচ্ছালাম গালিব আসরের আজানের পনেরো মিনিট সময় বাকী। আমি ও আমার ভাই রওয়ানা দিলাম মসজিদের উদ্দেশ্য, সালাত পড়ে একটু ঘুরাঘুরি করবো। আজান হলে নামাজ পড়লাম। কিছুক্ষণ মসজিদে বসে তাসবীহ তাহলীল পাঠ করে বের হলাম। বিকেলের হালকা নাস্তা করলাম। তারপর মসজিদের আশপাশটা দেখে খোদার সৃষ্টি এই অপরূপ দৃশ্যগুলো গাছপালা, জীবজন্তু, নদী-নালা হেঁটে দেখলাম। সন্ধ্যার আজান হচ্ছে। মসজিদে এসে নামাজ পড়লাম। সালাতের পরের আমলগুলো শেষ করে বাহির হলাম। সন্ধ্যায় সূর্যি মামা পশ্চিমাকাশে ডুব দিচ্ছে; কি অপরূপ দৃশ্য! এমন সময় দেখি মসজিদের পাশে বসে আছে, বাবা-মা ও তাদের ছোট্ট ছেলে। মসজিদের মুসল্লিগণ সালাত শেষে বাহির হওয়ার সময় তাদের সাহায্য করছে। ছোট্ট ছেলেটি একা একা খেলা করছে। তার খেলার কোনো সাথী নাই। এই দৃশ্য দেখে চোখের পানি আর ধরে রাখতে পাড়লাম না। ছেলেটি যদি আজ তাদের নিজের বাড়িতে থাকতো। তাহলে….. হয়ত বা এই দৃশ্য দেখতে পেতাম না। এই ছেলেটিরও তো বন্ধুদের সাথে খেলা করতে ইচ্ছে করে। কি করবে? বাবার -মার টাকা উপার্জন করার ক্ষমতা নেই। তাই ছেলের এই অবস্থা। নতুবা ছেলেটি শিক্ষালয়ে পড়তো, সহপাঠীদের সাথে খেলা করতো। আহ! দুঃখ লাগে এসব দৃশ্য দেখলে। আমি আর কি করতে পারি। এখানে বাবা-মারও কিছু অবহেলা। তাদের ইচ্ছা থাকলে ছেলেটিকে মাদ্রাসায় দিতে পারত। অবহেলায় এই ছোট্ট শিশুটি বড় হলে কিছু করতে না পেরে হয়ত বা বাবার রাস্তায়ই বেছে নিবে। আল্লাহর ইচ্ছা থাকলে এই ছেলেটিকে অন্য পথেও নিতে পারে। আল্লাহ আপনি সবকিছুর মালিক। সব কিছু আপনার ইশারায় কাজ হয়। এই ছেলেটিকে আপনি আপনার পছন্দের পথে নিয়ে যান। /এমএম Comments SHARES সাহিত্য বিষয়: গালিব’র মুক্তগদ্য ’শেষ বিকেলের কান্না’