শ্রীলঙ্কায় নিখোঁজ শেখ সেলিমের নাতি, আহত জামাই

প্রকাশিত: ১২:৩৩ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০১৯

শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের মেয়ে জামাই আহত হয়েছেন এবং নাতি নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্রুনেই সফররত প্রধানমন্ত্রী রবিবার (২১ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এম্পায়ার অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাব হোটেলের বলরুমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ কথা জানান।

শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দুঃখজনক ঘটনা হলো- শেখ সেলিমের মেয়ে তার জামাই ও দুই বাচ্চা নিয়ে শ্রীলঙ্কায় ছিল, সেখানে তারা রেস্টুরেন্টে খাচ্ছিল। সেখানে বোমা হামলা হয়েছে। জামাই আহত হয়ে হাসপাতালে, বাচ্চাটার এখনো কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। আপনারা দোয়া করেন।

এদিকে, দেশটির রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরের গির্জা ও বিলাসবহুল হোটেলসহ আটটি স্থানে কয়েক দফা বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৭ জনে। নিহতের মধ্যে অন্তত ৩৫ বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক নাগরিক।
রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ইস্টার সানডের প্রার্থনা চলাকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

এই ভয়াবহ হামলার ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিকাল ৬টা থেকে আগামীকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। এছাড়াও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আগামীকাল ২২ এপ্রিল ও পরশু ২৩ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্টের সেক্রেটারির দপ্তর থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এ পর্যন্ত এই বোমা হামলার দায় কোনো পক্ষ স্বীকার করেনি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই হামলার পেছনে আইএস ফেরত একটি গ্রুপ থাকতে পারে।

জানা গেছে, রাজধানী শহর কলম্বোর কচ্চিকাডের সেন্ট অ্যান্থনি গির্জা, নিগাম্বোর সেন্ট সিবাস্তিয়ান গির্জা ও কাটানা শহরের কাটুওয়াপিটিয়ার একটি গির্জায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এছাড়া রাজধানীর শাংরি লা হোটেল, সিনামন গ্রান্ড ও কিংসবুরি পাঁচ তাঁরা হোটেলেও বিস্ফোরণ হয়েছে।

সবগুলো বিস্ফোরণের ঘটনা একই সময়ে ঘটেছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, খ্রিস্টধর্মে বিশ্বাসীদের জন্য খুবই আনন্দের ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন ইস্টার সানডে।

Comments