শ্রীলঙ্কা হামলায় অভিযুক্ত উগ্র ইসলামপন্থী তাওহীদ জামায়াত কারা?

প্রকাশিত: ৩:৪৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার পেছনে উগ্র ইসলামপন্থীদেরকেই দায়ী করছে দেশটির পুলিশ। পুলিশ বলছে, তাদের বিশ্বাস উগ্র ইসলামপন্থীরাই ইস্টার সানডেতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। এসব উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলো স্থানীয়ভাবেই তাদের এই তৎপরতা চালায়।

বেশ কিছু বিদেশিসহ রবিবারের এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন এখন পর্যন্ত ২৯০ জন। আহত হয়েছেন আরো কমপক্ষে ৫০০ জন। তবে হামলার দায় আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কেউ স্বীকার করেনি।

এদিকে পুলিশ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৪ জনকে আটক করেছে। তবে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। সূত্র: বিবিসি

এদিকে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ন্যাশনাল তওহীদ জামায়াত নামের একটি দলের ওপর ‘ফোকাস’ করে এ তদন্ত চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তওহীদ জামাত দেশটির একটি ছোট্ট দল যাদের সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তারা ইসলামের সন্ত্রাসী মতাদর্শ প্রচার করে থাকে।

এ ঘটনার নেপথ্যে জড়িত কোনো গোষ্ঠীকে এখনও পর্যন্ত  চিহ্নিত করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা কর্তৃপক্ষ। তবে তারা বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে।

এদিকে ওই হামলার ১০ দিন আগে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ন্যাশনাল তওহীদ জামায়াত কর্তৃক গীর্জার ওপর সম্ভাব্য হুমকির বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।

তবে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমাসিংহে রবিবার জানিয়েছেন, তিনি এবং অন্য শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা হুমকি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না। তিনি বলেন, কী কারণে যথাযথ পূর্বসতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি তা অবশ্যই আমরা খতিয়ে দেখবো।

নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধ মূর্তি ভাঙার সঙ্গে ন্যাশনাল তওহীদ জামায়াতের নাম জড়িয়ে ছিল। দলটির সেক্রেটারি আবদুল রাজিককে বর্ণবাদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ শ্রীলঙ্কায় কয়েক দশক ধরে গৃহযুদ্ধ চলেছে। ২০০৯ সালে এই গৃহযুদ্ধের অবসান হয়। দেশটিতে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদের সহিংসতার খুবই কম  ইতিহাস রয়েছে।

/আরএ

Comments