ইতালি প্রবাসীদের বাংলা শিখাচ্ছে ‘সঞ্চারী সঙ্গীতায়ন’

প্রকাশিত: ১:০৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯

মোল্লা মনিরুজ্জামান মনির ইতালি প্রতিনিধি: সুস্মিতা সুলতানাকে বলা যেতে পারে প্রবাসের মাটিতে নতুন প্রজন্মের একজন ভাষা সৈনিক। একজন শিল্পী এবং সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিত্ব। সুস্মিতা বেশ কয়েক বছর ধরেই থাকেন ইতালিতে।

প্রবাসে সবাই যখন দৌড়াচ্ছে অর্থের পেছনে। তখন তিনি নিজের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠা করলেন ‘সঞ্চারী সঙ্গীতায়ন’ নামে একটি সঙ্গীত বিদ্যালয়। তিনি গত চার বছর যাবৎ কাজ করছেন ইতালিতে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মকে নিয়ে। ইতালিতে বেড়ে উঠা শিশুদের হাতে-কলমে শিখান বাংলাভাষা । দেশের গানগুলো খুব শুদ্ধ করে শিখান ইতালিতে বেড়ে ওঠা বাঙালি শিশুদের।

বাংলাভাষা এবং ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেন।  ইতালিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের শিক্ষা দেন বাংলাভাষা। কারন অনেকেই আছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভাষা শিক্ষতে আগ্রহী। সঞ্চারী সঙ্গীতায়ন তাদের নিয়ে কাজ করে, তাদের কাঙ্খিত দেশের ভাষা শিক্ষা দেন।

সঞ্চারী সঙ্গীতায়নের মহান ভাষা দিবসে ভিন্ন ধর্মি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্যাপক প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। অনুষ্ঠানে ইতালিয়ানরা গাইলেন বাংলা গান ‘নোঙর তোল তোল’। এখানেই শেষ নয়, আরো গাইলেন ‘আমার ভাইয়েয় রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’।

গানটি শুনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীদের চোখ বেয়ে অঝোরে ঝড়ছিল অশ্রু।  যে লক্ষ্য নিয়ে সুস্মিতা সুলতানা এবং কনক দম্পতি এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন অনেকটা সফলতার দারপ্রান্তে।তবে নিজের খেয়ে মনের মহিশ কতক্ষন তাড়ানো যায়। তারপরও তারা চালিয়ে যাচ্ছন।

সুস্মিতা সুলতানা বলেন, যতক্ষন এ দেহে থাকবে প্রাণ, গেয়ে যাব বাংলা ভাষায় গান। আমরা যেহেতু বায়ান্ন দেখিনা, সালাম, বরকত, রফিক যদি ভাষার জন্য প্রাণ দিতে পারে সেই মাতৃভাষাকে নিজর মায়ের মত বাঁচিয়ে রাখতে পারব না কেন? তিনি তার সাধ্যমত বাংলাভাষাকে ইতালিয়ান এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছেন।নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়ার এক যোদ্ধা সুম্মিতা।

তিনি বলেন, বলেন আমরা প্রবাসী বাংলাদেশীদের সহযোগীতা চাই, তবে সহযোগীতা মানেই অর্থনৈতিক নয়, সকল ধরনের সহযোগিতা । দেশে দেশে দূতাবাসের মাধ্যমে এমন সংগঠনগুলোকে সহযোগীতা করলে প্রবাসে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং বাংলাভাষা বেঁচে থাকবে নতুন প্রজন্মের কাছে। এমনটাই মনে করছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা।

/এফএফ

Comments