ঢাকায় শুরু হয়েছে ‘ষষ্ঠ বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড- ২০২৩’। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ‘৬ষ্ঠ বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড ২০২৩’ এর জাতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক ও অন্যান্য অতিথিরা।

উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন ঢাবি উপাচার্য আখতারুজ্জামান। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রযুক্তি জ্ঞাননির্ভর এই সমাজ হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক। আজকের শিক্ষার্থীরা তাদের‌ বুদ্ধি দিয়েই স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। আমারা রোবট বানালেও রোবট হবো না।

এছাড়াও আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সেঁজুতি রহমান, বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, রোবট এখন আর বিলাসী পণ্য নয় বরং প্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে। তাই রোবট বানানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ও কষ্টকর কাজে সেই রোবট আমরা ব্যবহার করব। বিদেশেও রপ্তানি করব।

রোবট স্মার্টফোনের মতোই জরুরি পণ্য উল্লেখ্য করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, তরুণদের মেধার ঘাটতি নেই। প্রয়োজন একটু সুযোগ করে দেওয়ার। তাদের যথাযথ সুযোগ ও সহযোগিতা করা হলে তারা শুধু বাংলাদেশের সমস্যার সমাধান করবে না, ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে।

পলক বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালে ফিলিপাইনে প্রথমবার আন্তর্জাতিক রোবটিক অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করেই স্বর্ণপদক অর্জন করেছে। আমাদের মানবসম্পদকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারলে আগামী দিনে যেসব দেশে সোনা, রুপাসহ খনিজসম্পদ রয়েছে তাদের চেয়েও বাংলাদেশ আরো সমৃদ্ধশালী হবে।

দেশের তরুণরা যেন আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারে সেই লক্ষ্যে আগামী রোবট অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতার আগেই জেলা, উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ে স্থাপিত ৩০০টি স্কুল অব ফিউচারে একটি করে ড্রোন, থ্রিডি প্রিন্টার, এআর, ভিআর ও আধুনিক ল্যাব স্থাপন করা হবে বলেও জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।

Comments