জামায়াতে থাকতে পারবেন জাকির নায়েক, কথা বলতে পারবেন না নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ১০:০২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৯ অবশেষে মালয়েশীয় শহর মেলাকায় একটি জামায়াতে অংশ নেওয়ার অনুমতি মিলেছে বিতর্কিত ইসলামি বক্তা জাকির নায়েকের। শহরের এক কাউন্সিলর জাকিরকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানোর পর সমালোচনার মুখে পড়েন। তবে তার দাবি, সরকার শুধু তাকে বক্তব্য দিতে নিষেধ করেছে। জামায়াতে কিংবা কোনও অনুষ্ঠানে অংশ নিতে মানা করেনি। শেষ পর্যন্ত পুলিশও জাকির নায়েককে ওই জামায়াতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়। তবে তিনি সেখানে বক্তৃতা করতে পারবেন না। মালয়েশিয়ায় ধর্ম ও জাতিগত ইস্যুকে স্পর্শকাতর বিবেচনা করা হয়। দেশটির ৬০ শতাংশ মানুষ মুসলমান আর বাকিরা চীন ও ভারতের নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী। এদের বেশিরভাগই সনাতন ধর্মাবলম্বী। সম্প্রতি জাকির মন্তব্য করেছেন, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের চেয়ে মালয়েশিয়ায় থাকা সংখ্যালঘু হিন্দুরা শতগুণ বেশি অধিকার ভোগ করছেন। তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী হিন্দুরা মাহাথিরের নয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সমর্থক। এই মন্তব্যের জেরে জাকির নায়েককে মালয়েশিয়া থেকে বের করে দেওয়ার প্রসঙ্গটি আলোচনায় আসে। এ ঘটনায় পুলিশি তদন্ত চলছে। দুইবার পুলিশের জেরার মুখেও পড়তে হয়েছে তাকে। মেলাকার কাউন্সিলর মোহাম্মদ রফিক নাইজামোহিদিন সেখানকার ইন্ডাস্ট্রি, ট্রেড ও বিনিয়োগ কমিটিরও চেয়ারম্যান। একইসঙ্গে তিনি সেখানকার মসজিদ কমিটির প্রধান। তিনি বলেছেন ,৭ সেপ্টেম্বরের অনুষ্ঠানটি তিনি মসজিদ কমিটির প্রধান হিসেবে আয়োজন করছেন। কোনও সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নন। তিনি বলেন, ‘মেলাকা সরকার ও পুলিশ শুধু জাকির নায়েকের বক্তব্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কোনও অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নয়।’ বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য মেলাকার মুখ্যমন্ত্রী ইদ্রিস হারোনেরও সমালোচনা করেন তিনি। এদিকে মেলাকা কমিউনিকেশন্স, মাল্টিমিডিয়া, ইয়ুথ অ্যান্ড স্পোর্টস কমিটির চেয়ারম্যান কার্ক চি রফিককে আহ্বান জানান যেন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে জাকির নায়েককে আমন্ত্রণ না জানান। তিনি বলেন, উনি হয়তো কোনও বক্তব্য দিবেন না। কিন্তু তিনি তো বিতর্কিত। সব সরকারি কর্মকর্তারই উচিত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে নেওয়া। Comments SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: